অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশ
ত্রিপুরা, ১১ নভেম্বর : রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ফের একটি বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রেখেই সুরসুরি দিতে শুরু করেছে। প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে ভারতের মাটিতে ইন্দো-বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছে।
মূলত তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচার সহ বিভিন্ন কাজে দলের তাবড় তাবড় নেতারা জড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনুপ্রবেশকারীর অনুসন্ধানে নেমেছে।
একই সঙ্গে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। তাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের অনুসন্ধানের। এর আগেও এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে লেজেগোবরে হায়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকেই সে সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্তাদের নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন দেশের কোন রাজ্যে কত বাংলাদেশী ভুয়ে শংসাপত্রধারী নাগরিক রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে তা খুঁজে বের করতে। গোয়েন্দাকর্তাদের এই পরিসংখ্যান দ্রুত জমা দিতেও বলা হয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের পুলিশের মহানির্দেশকদের বার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশু পাচারের পাশাপাশি মাদক চালান এবং বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ঘটাছে। অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ গুহাটিতে এন ই সি’র বৈঠকেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর পূর্বাঞ্চলে সর্বনাশা মাদকের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সরকারি তথ্য উঠে আসে মায়ানমার হয়ে মিজোরাম, আসাম ও মণিপুরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের মাদক চোরাই পথে ত্রিপুরা হয়ে..