আজ ককবরক ভাষা দিবস
ত্রিপুরা, ১৯ জানুয়ারি : ৪৪তম ককবরক ভাষা দিবস বৃহস্পতিবার। অন্যান্য বছরের মতো এবারও এই দিনটি পালন করবে জি এম পি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগেও অনুষ্ঠান হবার কথা। ত্রিপুরায় প্রথম বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ককবরককে রাজ্য ভাষার স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেয়। সুদীর্ঘ রাজন্য শাসন ও তারপর কংগ্রেস শাসনে ককবরক ভাষা কোনদিন মর্যাদা পায়নি। সংস্কৃত, ফার্সির পর এ রাজ্যে রাজ্য ভাষা ছিল বাংলা। দৌলত আহমেদ ও রাধামোহন ঠাকুর প্রথমে ককবরক ব্যাকরণ রচনা করেন। কিন্তু রাজন্য শাসনে স্বীকৃতি মেলেনি। ১৯৭০ এর দশকে ককবরক ভাষাকে রাজ্য ভাষার মর্যাদা, এ ডি সি গঠনসহ উপজাতিদের চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন থেকে সে সময় সরে দাঁড়ায় ত্রিপুরা উপজাতি যুব সমিতি, যারা আজ আই পি এফ টি আই এন পি টি নামে পরিচিত। বামপন্থীদের উদ্যোগে চার দফা দাবির আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। ১৯৭৫ সালের ৩ মার্চ জোলাইবাড়ি রাজস্ব সার্কেল অফিসে ছিল আইন অমান্য। শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন ধনঞ্জয় ত্রিপুরা। আহত হন শতাধিক। ভাষা শহিদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার স্মরণে প্রতিবছর ৩ মার্চ শহিদান দিবস পালিত হয়। ১৯৭৮ সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হবার পরই উপজাতিদের চার দফা দাবি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ককবরক ভাষাকে রাজ্য ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। এ ডি সি গঠন হয়। উপজাতি রিজার্ভ পুনর্গঠন ও উপজাতিদের হস্তান্তরিত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়।