Feature NewsNewsত্রিপুরাপূর্বোত্তর

উৎসবের বোনাস নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার

ত্রিপুরা, ২৯ সেপ্টেম্বর : শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো! আর এই পুজোকে সামনে রেখেই সেজে উঠেছে গোটা বাংলা। শুধু বাংলাই নয়, গোটা দেশ এই উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছে। আর উৎসবের মরশুমে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে লক্ষাধিক সরকারি কর্মী উপকৃত হবে। ইতিমধ্যে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই বড় ঘোষণা করেছেন প্রশাসনিক প্রধান।

বোনাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা কর্মীদের জন্য সাড়ে চার হাজার টাকার বোনাস ঘোষণা করলেন তিনি।

যদিও উৎসবের মরশুমে এই সমস্ত কর্মীদের বোনাস দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু বৈষম্য ছিল। শহরে যে সমস্ত আশাকর্মী কাজ করেন তাঁরা সাড়ে চার হাজার টাকা বোনাস পান। কিন্তু গ্রামের যারা কাজ করেন তাঁরা দুই কিংবা আড়াই হাজার টাকা মাত্র বোনাস পেয়ে থাকেন। আর এই বিষয়ে জানার পরেই হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে সবাই সাড়ে চার হাজার টাকা বোনাস পাবেন। উৎসবের মরসুমে এহেন ঘোষণাতে খুশি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষণাতে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার আশা কর্মী।বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। কয়েক মাস আগেই অ্যাড-হক বোনাসের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যেখানে যাদের মাসিক বেতন ৩৭,০০০ টাকার বেশি নয় কিংবা ‘নন-প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাস প্রকল্পের মধ্যে পড়েন না তাঁদের এই বোনাস দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। সেই মতো মাথাপিছু ৪,৮০০ টাকার ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মাস বেতনের সঙ্গে তা পড়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক যে সমস্ত কর্মী রয়েছে তাঁরাও বোনাস পাবেন বলেই খবর। ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। অন্যদিকে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে অন্য জায়গাতে। উৎসবের মরশুমে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে। ৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে মহার্ঘভাতা। ফলে তাদের মোট বেতনও বাড়তে চলেছে। তবে এদিন মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির পরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক আরও অনেকটাই বেড়ে গেল। আর তা নিয়েও নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিএ দেওয়া নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এরপরেও সরকার এই বিষয়ে উদাসীন হওয়াতে ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *