একসঙ্গে হচ্ছে না উত্তীর্ণদের চাকরি, হতাশ বেকাররা
ত্রিপুরা, ১৭ নভেম্বর : টেট, এসটিজিটি, এসটিপিজিটি উত্তীর্ণ সকল যুবক যুবতীর একসাথে চাকরি হচ্ছে না। কারণ সংরক্ষণ নীতি এবং শূন্য পদ। ফলে হতাশ রাজ্যের টেট উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীরা। যদিও টেট-১, টেট-২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যুবক যুবতীরা সকলকে একসাথে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এমনকি পুলিশ প্রশাসনের সাথে বেকারদের রাজপথে ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়। বেকারদের উদ্যোগে মন্ত্রীর বাসভবনও ঘেরাও চলে। এরপর যদিও প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়। পুজোর মধ্যেই প্রায় সাড়ে চার হাজার টেট উত্তীর্ণ যুবক যুবতীদের চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে রাজ্যব্যাপী প্রচারও চলে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সবার কপালে চাকরি জুটছে না। উল্টো শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় ১ হাজার ৫৬১ জন বেকারের চাকরি হচ্ছে না। একই হাল এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যুবক যুবতীদের। কারণ এক্ষেত্রেও গ্র্যাজুয়েট টিচার (নবম ও দশম শ্রেণী) এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী) পদের জন্য কোনও শূন্যপদ নেই। কারণ এসটিজিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য শূন্যপদ আছে ৯৫১টি। এর মধ্যে ৬০২টি পদে নিয়োগের অনুমোদন এসেছেন। অন্যদিকে, এসটিপিজিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদ রয়েছে ৫৭৮টি। এর মধ্যে ২৭০টি পদে নিয়োগের অনুমোদন প্রদান হয়েছে। আর এই দুটি ক্ষেত্রেই সংরক্ষণের ভিত্তিতে সাধারণ শ্রেণী, তপশিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য শূন্যপদ রয়েছে। ফলে যারাই এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তাদের সকলের চাকরি হবে এ আশা ক্ষীণ। টিআরবিটি সূত্রে আরও জানা যায়, একই হাল টেট-১ এবং টেট-২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের। কারণ ১ অক্টোবর আন্ডার গ্র্যাজুয়েট টিচার পদে ৮১৪ জন এবং গ্র্যাজুয়েট টিচার পদে ২৩৫৪ জন মোট ৩১৬৮ শিক্ষক পদে আবেদন করার জন্য আহ্বান করেছিল টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ত্রিপুরা (টিআরবিটি)। ১১ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত টেট-১ এবং টেট-২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেকাররা এই পদের জন্য আবেদনও করা হয়। আর দেখা যায়, এই দুই ক্ষেত্রে ৩৬৪৭ জন উত্তীর্ণ বেকার আবেদন করেন। তবে এক্ষেত্রে বাধসাদে সংরক্ষণ নীতি। কারণ গ্র্যাজুয়েট টিচার (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) পদে অসংরক্ষিত পদ রয়েছে ১০৬০টি। অন্যদিকে, এসসি পদ ৩৬২টি, এসটি পদ ১৩২টি, পিএইচ ৯৪টি, ইএসএম ৫২টি (অসংরক্ষিত ২৪, এসটি ৮, এসসি-২৯) পদ রয়েছে।
যদিও গ্র্যাজুয়েট টিচার হওয়ার জন্য টেট-২ পরীক্ষায় পাস করেছেন ২৫৮৮ জন। এর মধ্যে অসংরক্ষিত শ্রেণীতে ১৫১২ জন, এসটি শ্রেণীতে ২৪০ জন এবং এসসি শ্রেণীতে ৭৫৬ জন।
ফলে এক্ষেত্রে অসংরক্ষিত শ্রেণীর ৫৩২ জন এবং এসসি শ্রেণীর ৩৯৪ জনের চাকরির আশা ক্ষীণ। শুধু তাই নয়, টেট-১ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরও একই হাল। কারণ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী) শিক্ষকের ৮১৪টি পদের মধ্যেও অসংরক্ষিত পদ ৪৬৯টি, এসটির শূন্যপদ ২৪১টি এবং এসসির শূন্যপদ ১০৪টি সংরক্ষিত আছে। ভিন্নতর সক্ষমদের জন্য ৩৩ পদ এবং ইএসএমের ক্ষেত্রে সাধারণ শ্রেণী ১২টি, এসটি ৬টি, এসসি ৩টি পদ। বর্তমানে টেট-১ পাস করা মোট সংখ্যা ১০৫৯ জন। এরমধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরির ৭০৯জন, এসসি ২৯৯ জন এবং এসটি ৫১ জন। ফলে এক্ষেত্রেও অসংরক্ষিত পদে ২৪০ জন এবং এসসি ক্যাটাগরিতে ১৯৫ জন টেট-১ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যুবক যুবতী চাকরি পাবেন না। ফলে এই টেট- ১ এবং টেট-২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দুই বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ১৫৬১ বেকারের..