কোভিডের মতোই দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এইচ থ্রি এন টু ভাইরাস
ত্রিপুরা, ৯ মার্চ : কোভিডের মতোই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সংক্রমণের পিছনে রয়েছে এইচ থ্রি এন টু ভাইরাস । কোভিডের মতোই থু থু থেকে এইচ থ্রি এন টু সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং ভাইরাসটি জিন পরিবর্তন করছে বলে জানালেন দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তন প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া । তাই এই সংক্রমণ থেকে শিশুদের বাঁচাতে বড়দের, বিশেষত সংক্রমিতদের যেমন সতর্ক হওয়া জরুরি, তেমনই যাঁদের হার্ট, কিডনির সমস্যা বা গুরুতর অসুখ রয়েছে, সেই কো-মর্বিডিটি সম্পন্ন ব্যক্তিদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দোল উৎসব চলছে। এই উৎসবে মেতে ওঠেন বাচ্চা থেকে বুড়ো- সকলেই। ফলে ছত ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনাও বেশি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্টারনাল মেডিসিন রেসপিরেটরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তথা মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টর ডা.রণদীপ গুলেরিয়া। তাই এই উৎসবের সময়ে সকলের বিশেষত, শিশুর অভিভাবকদের এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কেউ এইচ থ্রি এন টু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী ভাবে বোঝা যাবে, তাও উল্লেখ করেছেন এইমসের প্রাক্তন প্রধান। এইচ থ্রি এন টু ভাইরাসে সংক্রমিত হলে কী উপসর্গ দেখা যাবে? ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানান, এইচ থ্রি এন টু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, গা-হাত ব্যথা হবে। বহু বছর আগে এই ভাইরাসের জন্য মহামারী হয়েছিল। সেই ভাইরাসই বর্তমানে মিউটেশন করে এইচ থ্রি এন টু হয়েছে বলে জানান ডা.রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, এটি আগে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেন ছিল । কিন্তু, বর্তমানে সেটি কিছুটা মিউটেশন হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে। ফলে সহজেই ছোট থেকে বড় আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। তবে প্রতি বছরই এই ভাইরাসের জিনব বদল হয় জানিয়ে এইমস প্রধান আরও জানান, সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসেরই একটি প্রজাতি হল এইচ থ্রি এন টু ভাইরাস। এইচ থ্রি এন টু প্রতিরোধের উপায় কী ? দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তন প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান কারণ।