Feature NewsNewsত্রিপুরাভারত

ক্রমশ কমছে ২০০০ টাকার নোট

ত্রিপুরা, ৯ নভেম্বর : নোটবন্দি ও তার পরে প্রায় কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই বাজারে ২০০০ টাকার নোটের উদ্ভব। নোটবন্দি নিয়েই বহু | মানুষের বহু অভিযোগ, বহু সংকটের মুখোমুখি হওয়া। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে। ক্রমশই কমছে এই কারেন্সিটি। কী ভাবে বোঝা যাচ্ছে? এটিএমে টাকা তুলতে গেলে ২০০০ টাকা প্রায়শই আসে না। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের | মার্চের শেষে মোট নোটের মাত্র ১.৬ শতাংশ নোট রয়েছে ২০০০ টাকার। যার পরিমাণ ২১৪ কোটি। চলতি বছরের মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত দেশে মোট নোটের সংখ্যা ১৩,০৫৩ কোটি।

আগের বছর এই একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১২,৪৩৭ কোটি। রিজার্ভ ব্যাংক অফ | ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালের মার্চের শেষে বাজারে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল ২৭৪ কোটি।

যা ছিল মোট প্রচলিত নোটের ২.৪ শতাংশ। সেই সংখ্যাই চলতি বছরে নেমে এসেছে ২১৪ কোটিতে। যা মোট নোটের মাত্র ১.৬ শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চ মাসে ২০০০ টাকার নোট ছিল ২৪৫ কোটি। যা ছিল মোট নোটের ২ শতাংশ। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের রাত ৮টায় ভারতীয় অর্থনীতিতে ঘটেছিল নোটবন্দি। সেই সন্ধ্যায় আচমকা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। তার পর কেটে গিয়েছে ছ’টা বছর। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র | মোদী। সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, | দুর্নীতি এবং কালো টাকায় রাশ টানার জন্যই তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ। কিন্তু দুর্নীতিতে কি রাশ টানা গিয়েছে? কালো টাকা কি ভ্যানিশ হয়েছে? নোটবন্দির পর থেকে এই সব প্রশ্নই তাড়া করে ফিরেছে দেশের সাধারণ মানুষকে, ভাবিয়েছে দেশের | অর্থনীতিবিদদেরও। নোট বাতিলের জেরে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদী সরকারের এই নোট বাতিলের কাণ্ড-কারখানা রীতিমতো অবৈজ্ঞানিক এক ব্যাপার বলেও বার বার নানা মহল..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *