গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে কমলপুরের দুই স্থানে জমায়েত
ত্রিপুরা , ২৭ সেপ্টেম্বর : গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধান রক্ষা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভিবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধসহ জনজীবনের সমস্যাগুলি নিয়ে কমলপুরের দুটি স্থানে মিছিল ও জমায়েত সংগঠিত হয়। সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শুক্রবারে মরাছড়া বাজারে ও রবিবারে কচুছড়া বাজারে সি পি আই (এম)র ডাকে হয়েছে মিছিল প্রতিবাদ সভা। মরাছড়া বাজারের জমায়েতে সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন মদন সিংহ,উদয় দেববর্মা, রতিকান্ত দাস,মদন কৈরী,ছত্তার মিঞা। বক্তব্য রাখেন সি পি আই (এম) কমলপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অঞ্জন দাস, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রাণকুমার দাস, মরাছড়া অঞ্চল কমিটির সম্পাদক বাবুলাল মুণ্ডা, নেতৃত্ব নারায়ণ দত্ত। কচুছড়ায় সভাপতি ছিলেন চংলাই হালাম। বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সম্পাদক পংকজ চক্রবর্তী, অঞ্জন দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য অমলেন্দু দেববর্মা ও কচুছড়া অঞ্চল সম্পাদক নিরঞ্জন মজুমদার।
সভাগুলিতে বক্তারা বলেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের রক্ত ঝরছে।
সরকার পরিবর্তনের পর গণতন্ত্রের টুটি টিপে ধরা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অত্যাচারী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ঔপনিবেশিক শাসনকে হার মানিয়েছে বিজেপির শাসন। গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় প্রাণঘাতী আক্রমণ ও সম্পত্তি নষ্ট আকছার ঘটছে। আইনের শাসন উধাও। অন্যদিকে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্রের দরদাম। সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস। দপ্তরে দপ্তরে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি। বাড়ছে বেকারি,কাজ-খাদ্যের হাহাকার। প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে চলছে প্রতারণা। মানুষ আর ঠকতে রাজি নয়। এই হঠকারী জনবিরোধী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে, ধ্বংসের হাত থেকে ত্রিপুরাকে উদ্ধার করে শান্তি-সম্প্রীতির ও উন্নত ত্রিপুরা তৈরির জন্য জনগণ তৈরি হচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই আন্দোলনের চেহারা ব্যাপকতর হবে।