Feature Newsfleshঅন্যান্যপূর্বোত্তর

চোখের সামনে ৭৫ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল নৌকো, খোঁজ মিলছে না অনেকের

ত্রিপুরা, ৩০ সেপ্টেম্বর : অসমের ধুবড়িতে, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে অন্তত ৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল একটি নৌকো। যাত্রীদের মধ্যে বহু সংখ্যক স্কুল শিক্ষার্থী ছিল। ধুবড়ি জেলা পুলিশ জানিয়েছে, অধিকাংশ যাত্রীই সাঁতরে পারে উঠে এসেছেন। তবে অন্তত সাতজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধুবড়ি জেলার রাজস্ব বিভাগের সার্কেল অফিসার সঞ্জু দাস। স্থানীয়দের দাবি, নৌকোটিতে ১০টি মোটরসাইকেল বোঝাই ছিল।

স্পষ্টতই ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী ও ওই যানবাহনগুলি থাকাতেই ভারসাম্য হারিয়েছিল নৌকোগুলি।

সূত্রের খবর, নিখোঁজ সাতজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে রাজ্য । বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিদের মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক = সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি যন্ত্রচালিত কাঠের নৌকায় করে ধুবড়ি-ফুলবাড়ি ব্রিজের কাছে নদীর ওই অংশটি অতিক্রম করছিলেন। বিপুল সংখ্যক যাত্রী। হঠাৎ কোনও পাথর বা অন্য কিছুতে ধাক্কা লেগে নৌকোটি উল্টে যায়। সব যাত্রীই জলে পড়ে যান। অধিকাংশ যাত্রীই নিরাপদে পারে উঠে আসতে পারলেও, সার্কেল অফিসার-সহ ওই সাতজনের কোনও খোঁজ মিলছে না।দুর্ঘটনার মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োটি নিকটবর্তী এক সেতু থেকে তোলা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে নদীর মাঝে এক এলাকায় কয়েকটি লোহার রড বেরিয়ে রয়েছে। সম্ভবত সেটি নদীর উপরে নির্মিয়মাণ কোনও সেতুর স্তম্ভের অংশ। সেই স্ততে ধাক্কা লাগার পরই আচমকা নৌকোটি ডুবে যায়। আতঙ্কিত যাত্রীদের নৌকো থেকে ভেসে আসা বাঁশ, কাঠের তক্তা ধরে পারে ভেসে আসতে দেখা যায়। অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সিইও জ্ঞানেন্দ্র দেব ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, নৌকোটি ছিল হাতে তৈরি একটি মোটরচালিত নৌকো। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই বিষয়ে বিশদে তথ্য এখনও তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা জানিয়েছেন, “যন্ত্রচালিত দেশি নৌকোটি শুধুমাত্র মালপত্র বহন করত। সেই নৌকোয় কেন অতজন যাত্রীর সঙ্গে সার্কেল অফিসার নিজেও যাত্রা করছিলেন, সেই বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *