নির্বাচনের আগে হিমাচলে এইমসের উদ্বোধনে মোদি
ত্রিপুরা, ৭ অক্টোবর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশে একটি নতুন এইমস চালু করলেন। হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনের আগে এইমস চালু যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এক দশক আগে ছয়টি এইমস চালু হলেও অভিজ্ঞ চিকিৎসক, স্টাফ বা পরিকাঠামোর অভাবে সেভাবে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি। পাটনা, ভুবনেশ্বর, ঋষিকেশ, ভোপাল, যোধপুর ও রায়পুরে এইমসের কার্যক্ষমতা পর্যালোচনা করার পর সংসদের একটি প্যানেল নতুন একটি প্রতিবেদ প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ছয়টি এইমসের অনেক বিভাগ এখনও কর্মীর অভাব রয়েছে। যার জেরে পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইমস পাটনা ও রায়পুরে কর্মী ঘটতি ৫০ শতাংশের বেশি। বাকি চারটিতে ঘাটতি প্রায় ৩০ শতাং রয়েছে। একাধিক বিভাগে কর্মীর অভাবে বন্ধ পড়ে রয়েছে। দেখা গিয়েছে, সব থেকে বেশি কর্মী ঘাটতি ভোপালে রয়েছে। সেখানে মাত্র ২৮ শতাংশ নন ফ্যাকাল্টি কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এইমস ভুবনেশ্বর ও রায়পুরে প্রায় ৪০ শতাংশ শূন্যপদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন এইমসের শূন্যপদের পরিসংখ্যান সংসদীয় প্যানেলের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শূন্যপদের কারণে অনেক বিভাগ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বা কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে না।
গত মাসে সংসদ সদস্যের একটি প্যানেল এই মন্তব্য করেছেন। তবে এই ধরনের প্রতিবেদন এটাই প্রথম নয়।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল একাধিক রিপোর্টে দুই দশক আগে ছয়টি এইমসের কর্মীসঙ্কট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। সেখানে দেখানো হয়েছে, চিকিৎসার অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম পড়ে রয়েছে। সেগুলোর প্যাক পর্যন্ত খোলা হয়নি। ব্যবহার করা অনেক দূরের কথা। শুধুমাত্র কর্মী অভাবের জেরে। বিজয়া দশমী তিথিতে হাওড়ার ঘাটে হয়ে গেল প্রতিমা নিরঞ্জন তারপরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একটি এইমসের উদ্বোধন হিমাচল প্রদেশে করেন। আরও ১৬টি এইমস উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রায়বরেলি, মঙ্গলগিরি, নাগপুর, কল্যাণী, গোরখপুর, ভাটিল্ডা, গুয়াহাটি, সাম্বা, অবন্তিপুরা, দরভাঙ্গা, মাদুরাই, দেওঘর, রাজকোট, বিবিনগর এবং মানেথিতে এইমস চালু হলেও কর্মী অভাবে ধুঁকছে। বিলাসপুরে এইমসের উদ্বোধনের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, হিমাচলপ্রদেশের বাসিন্দাদের এবার চিকিৎসার জন্য চণ্ডীগড় বা দিল্লিতে যেতে হবে না। ১৪৭০ কোটি টাকা দিয়ে এই এইমস নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮টি বিশেষ বিভাগ ও ১৭টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ এখানে রয়েছে। ১৮টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। ৬৪টি আইসিইউ শয্যা ও ৭৫০টি শয্যা রয়েছে।