নোটবন্দি, জি এস মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে দেশের মানুষের
ত্রিপুরা, ১ ডিসেম্বর : নোটবন্দি আর জিএসটি সাধারণ মানুষের মেরুদণ্ডই ভেঙে দিয়েছে। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার উজ্জয়নে এক জনসভায় একথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি । ভারত জোড়ো যাত্রার অঙ্গ হিসাবেই মঙ্গলবার উড্ডয়নে সভা করেন রাহুল। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘লকডাউনের সময় শত শত মাইল হাঁটলেন যে পরিযায়ী শ্রমিকরা অথবা দেশের কৃষক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই ‘প্রকৃত তপস্বী’। মোটেই উনি নন।’
এর পরেই তিনি বলেন, ‘এই যে ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটছি, আমি মোটেই তপস্বী নই। আসল তপস্বী খেটে খাওয়া মানুষই।
অথচ দুঃখের বিষয় হলো এরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। দু’তিন জন শিল্পপতি সব ফায়দা লুটে নিচ্ছেন।’ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোট দোকানদার এবং ব্যবসায়ীরা দেশের বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি করেন। অথচ এই কঠোর শ্রমের মর্যাদা তারা পান না। তাদের পকেটের অর্থ ছিনিয়ে চলে যাচ্ছেন ওই কতিপয় শিল্পপতিরা।’ প্রসঙ্গক্রমে রাহুল এদিন মধ্য প্রদেশের ব্যপক কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, “ওই কেলেঙ্কারি যেমন শিক্ষাব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে তেমনই যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগও সংকুচিত হয়েছে। বিষয়টি আপামর মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারে একমাত্র সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু তারা পাচ্ছে না কারণ তাদেরও হাত-পা বাঁধা ওই সব শিল্পপতিদের কাছে।’ এদিকে, ভারত জোড়ো যাত্রা তার চারিত্রিক অনেক বদল ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন রাহুল গান্ধি। এদিন হালকা হলেই রাহুল বলেছেন যে এখন তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হয়ে উঠেছেন। অনেক মন দিয়ে ঠান্ডা মাথায় শুনছেন মানুষের কথা। সাংবাদিকরা ইন্দোরে তাকে ভারত জোড়ো যাত্রায় তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কিংবা সবচেয়ে সন্তোষজনক বিষয় কী প্রশ্ন করলে রাহুল বলেন, ‘বহু এমন ঘটনা আছে। তবে সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো এই যাত্রায় আমার ধৈর্য নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, আট ঘণ্টা ধরে ব্যস্ত থাকলে এখন আমি মোটেই রেগে যাই না। হাঁটার সময় ঠেলা খাচ্ছি কিংবা টানাটানি করছে, কখনও কখনও ব্যথাও পেয়েছি। তাও আমার কোনও রাগ হয়নি। অথচ আগে দু’ঘণ্টাতেই ভীষণ রেগে যেতাম। আবার আগের চেয়ে অনেক ধৈর্য সহকারে মানুষের কথা শুনছি। যা আমাকে অনেক বেশি ঋদ্ধ করছে।