পঁচিশ বছর চাকরির ভিত্তিতে পুরো পেনশন উচ্চ আদালত
ত্রিপুরা , ২৩ সেপ্টেম্বর : ১-১-২০০৬ থেকে ৩১-১২-২০০৮ এর মধ্যে যারা অবসর নিয়েছেন তারা ২৫ বছর চাকরির ভিত্তিতে পুরো পেনশন পাবেন বলে প্রদত্ত একক বিচারপতির রায়কে বহাল রেখেছে মাননীয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। একক বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা রাজ্য সরকারের চারটি রিট আপিল গতকাল খারিজ করেছে বিচারপতি টি অমরনাথ গৌর ও বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আর ও পি মূলে পুরো পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ ৩৩ বছর থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়।
কিন্তু বলা হয় শুধুমাত্র যারা ১লা জানুয়ারি ২০০৯ এরপর যারা অবসরে গেছেন তারাই ২৫ বছর চাকরির ভিত্তিতে পুরো পেনশন পাবেন। এর ফলে ১-১-২০০ থেকে ৩১-১২-২০০৮ এর মধ্যে যারা অবসরে গেছেন তারা ২৫ বছরের ভিত্তিতে পুরো পেনশন থেকে বঞ্চিত হন। ২৫ বছরের ভিত্তিতে পুরো পেনশন পাবার ক্ষেত্রে ১-১-২০০৯ নির্ণায়ক করাকে অযৌক্তিক এবং সমগোত্রীয় পেনশনের মধ্যে কৃত্রিম বৈষম্য বলে অভিহিত করে উচ্চ আদালতে ২০১১ সনে অনেকগুলো রিট মামলা দাখিল করা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ কেকুরেশি ২১ জানুয়ারি ২০২০ সনে প্রদত্ত রায়ে বলেন, ২০০৯ সনের পেনশন বিধির ৫ নং ধারায় সমগোত্রীয় পেনশনারদের মধ্যে কৃত্রিম বিভাজন করা হয়েছে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা ও ডি এস নাকারা বনাম ভারত সরকারের মামলায় প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ এর রায়ের পরিপন্থী কৃত্রিম কাট অব ডেট বাতিল করে উচ্চ আদালত রায়ে বলা হয় ১-১-২০০৯ এর পূর্বে যারা অবসরে গেছেন তারও ২৫ বছরের চাকরির ভিত্তিতে পেনশন পাবেন। রাজ্য সরকার একক বিচারপতির রায়কে মেনে না নিয়ে রিট আপিল দাখিল করেন। উচ্চ আদালতের মাননীয় ডিভিশন বেঞ্চ রিট আপিলগুলো খারিজ করে প্রদত্ত রায়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে একক বিচারপতির রায়কে কার্যকর করার জন্য। পেনশনারদের পক্ষে রিট মামলা ও আপিলগুলোতে সওয়াল করেন বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন, আইনজীবী সমরজিত ভট্টাচার্য ও কৌশিক নাথ। রিট আপিলগুলো খারিজ হওয়ায় পুরো পেনশনের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট সংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবেন।