পিএম কেয়ার ফান্ডের নব নিযুক্ত ট্রাস্টি রতন টাটা
ত্রিপুরা , ২২ সেপ্টেম্বর : পিএম কেয়ার ফান্ড। করোনা মহামারীর সময়ে এই ট্রাস্টের কাজ শুরু করা হয়। এবার ট্রাস্টিদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় রাখা হয়েছে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এমেরিটাস রতন টাটাকে। এছাড়াও ট্রাস্টিদের তালিকায় যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মনোনীত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে টি থমাস, প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার কারিয়া মুন্ডা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে ট্রাস্টের নতুন মনোনীত সদস্যদের স্বাগত জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে মন্ত্রিসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই ফান্ডের ট্রাস্টি।
সম্প্রতি পিএম কেয়ার ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের একটি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই বৈঠকে পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকায় যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেইসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রতন টাটাকেও। পিএম কেয়ার ফান্ডের নতুন ট্রাস্টিদের মনোনীত করা ছাড়াও, উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, দেশের প্রাক্তন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল রাজীব মেহরিষি, ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি, টিচ ফর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। ইন্ডিয়ার কো ফাউন্ডার এবং ইন্ডিক পস এবং পিরামল ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন সিইও আনন্দ শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, নতুন ট্রাস্টি এবং উপদেষ্টাদের মাধ্যমে পিএম কেয়ার্স ফান্ড আরও বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি কার্যকারিতাও বাড়বে। এই বছরেই পিএম কেয়ার্সের অধীনে পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিমের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যে সব শিশুরা অতিমারীর কারণে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে, তাদেরকে এই ট্রাস্টের থেকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত এই সাহায্য দেওয়া হবে। এই স্কিমের অধীনে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য এডুকেশন লোন চায় তা দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারিতে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ডে তহবিল তৈরি হয়েছে ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকার। তার মধ্যে খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। সেই সময় জানানো হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা এবং কোভিড ডোজের জন্য ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকার হিসেব চেয়ে বারে বারে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। পাল্টা কেন্দ্ৰীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স হল পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ।