Feature NewsfleshNewsত্রিপুরা

প্রভারীর দায়িত্ব পেয়ে রাজ্যে এসেই আজ প্রথম ভোটের মুখোমুখি মহেশ শর্মা

ত্রিপুরা , ২২ সেপ্টেম্বর : আগামীকাল রাজ্যসভার একটি মাত্র আসনের উপনির্বাচন। রাজ্য বিজেপির মনোনীত প্রার্থী জালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। রাজ্য পাদ থেকে ডাঃ মানিক সাহা পদত্যাগ করায় এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিধায়কের সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে বিপ্লব কুমার দেবের জয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও বিজেপির রাজ্য প্রভারী হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই একটি নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ড. মহেশ শর্মাকে। নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ বুধবার পাত্রাকে সাথে নিয়ে রাজ্যে আসেন ঊষ্ণ অভ্যর্থনায় ভাসলেও সন্ধ্যার বিমানে রাজ্যে আসার ঠিক কিছুক্ষন

বিমানবন্দরে দলীয় কর্মীদের পরেই মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সরকারি বাসভবনে সম বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন

প্রভারীর দায়িত্ব পেয়ে রাজ্যে এসেই আজ প্রথম ভোটের মুখোমুখি মহেশ শর্মা

দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা উত্তর রাজ্য সভার ভোট নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার ডাকা বুধবারের আলোচনা সভায়, দলীয় বিধায়ক ও মজীদের পূর্বাঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর সম্বিত পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন দলের নব নিযুক্ত প্রভারী ডাঃ মহেশ শর্মা, বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র তার সঙ্গিত চাইবেন দলের সমস্ত বিধায়কদের পাত্রা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য বিপ্লব দেব।

যেহেতু প্রভারী হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাকে একটি নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে

দেবের জয় নিশ্চিত হলেও যেহেতু দলের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ততটা সুখকর নয় তাই নবনিযুক্ত প্রভারী মহেশ শর্মা কোনো ধরনের গ্রুপ ভোটে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। রাজ্যে এসেই তড়িগড়ি করে ভোটারদের অর্থাৎ বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। এই ধরনের ভোটে সরাসরি কোনো ধরনের হুইপ জানি করা না হলেও এটা অলিখিত হইল কিন্তু দলের তরফ থেকে তাারি করা হয়। বুধবারের বৈঠকে এই ধরনের একটা অলিখিত হুইপ জারির বিষয় থাকতে পারে বলে খবর। কেননা প্রধারীর দায়িত্ব পাওয়ার পর যেহেতু মহেশ শর্মার কাছে এটাই রাজ্যের প্রথম ভোট তাই তিনি ভোট যেনো বিপ্লব দেবের অনুকূলেই নেতৃত্বের কাছেও একটা সুবার্তা পৌঁছে । তাই বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকরে পড়ে। এতে করে দলের কেন্দ্রীয় তিনি গুরত্ব দিয়েছেন বলেই খবর। দলের মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দিতে পারবেন তিনি। এদিকে ভোটের পরের দিন অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের আসার কথা রয়েছে বিজেপি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। ফলে ধরেই নেওয়া যায় যেহেতু আগামীকাল রাজ্যসভার উপভোট এবং ঠিক তার পরের দিন রাজ্যে আসছেন বি এল সন্তোষ। ফলে টানা তিন চারদিন যে তারা রাজ্যে অবস্থান করবেন তা প্রায় স্পষ্ট। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সভার ভোট শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ পরের দিন বি এল সন্তোষ রাজ্যে এসে প্রভারী এবং সম্বিত পাত্রাকে সাথে বেশ কয়েকটি স্তরে সাংগঠনিক বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। এমনিতেই বি এল সন্তোষ ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যদের মধ্যে একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তার রাজ্য সফরের সময় যে কয়টি বৈঠকই অনুষ্ঠিত হবে তার একটাই লক্ষ্য তাহলো ২৩’র বিধানসভা নির্বাচন। জানা গেছে, বি এল সন্তোষ রাজ্যে এসে ২৩’র ভোটকে কেন্দ্র করেই একটা প্রাথমিক রণকৌশলের ছক কষে যাবেন। তবে বৈঠকে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে জনজাতি এলাকার ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে। কিভাবে জনজাতি এলাকায় ভোট চাইবেন কিংবা আগামীদিন মথাকে কিভাবে ম্যানেজ করা যাবে এই বিষয়টিও কিন্তু বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তাতে তা প্রাধান্য পাবে। কেননা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা ইতিমধ্যেই পাহাড় ভোট নিয়ে একটা আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন। যার কারণে সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত রাজ্যে এসেই কিন্তু প্রথমেই রাজবাড়িতে গিয়ে রাজমাতা বিভু কুমারী দেব এবং স্বল্প সময়ের জন্য প্রদ্যোতের সাথেও মত বিনিময় করেন। যদিও রাজবাড়ি থেকে এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো মোহন ভাগবতের সাথে সাক্ষাৎপর্বটি ছিলো সৌজন্যমূলক। এর মধ্যে নেই কোনো ধরনের রাজনৈতিক আভাষ। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক মহল কিন্তু বিষয়টিকে রাজনৈতিক অঙ্গনের মধ্যেই ধরে রাখতে চাইছে। ফলে বি এল সন্তোষের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ রাজ্যে এসে যে সাংগঠনিক বৈঠকগুলি করবেন তাতে জনজাতি ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে কিংবা মথার প্রসঙ্গ ওই বৈঠকে আলোচনা হবে তা প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ফলে সব মিলিয়ে প্রভারী ড. মহেশ শর্মা, বি সম্বিত পাত্রা এবং ২৩ তারিখ বি এল সন্তোষে রাজ্য সফর নিঃসন্দেহে রাজ্য বিজেপি তো বটেই, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *