ফের নিম্নচাপ, নভেম্বরেই আঘাত হানতে পারে ম্যান্দোস
ত্রিপুরা, ৭ নভেম্বর : উপকূলবাসীদের কাছে আবারও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াল নভেম্বর মাস। চলতি নভেম্বরেও বড় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এই মাসেই বঙ্গোপসাগরে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের নতুন করে কোনও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘ম্যান্দোস’। রোটেশন পদ্ধতিতে এবারে ঘূর্ণিঝড়ের নামটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দেওয়া।
নভেম্বর মাসে সংগঠিত ঘূর্ণিঝড়গুলোর বিষয় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘অক্টোবর-নভেম্বর মাসের দিকে সাগর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উষ্ণতা বাড়তে থাকে। আর এর ফলে সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বায়ুর উষ্ণতার কারণে উপরিভাগে বাতাস হালকা থাকে। এর ফলে নিম্নভাগে বায়ুর চাপ বাড়তে থাকে। আর এতেই সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়।’ অতীতের ইতিহাস বলছে; অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের ঘূর্ণিঝড় অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে না পারলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়। পরিবেশবিদ স্বাতীনন্দা চক্রবর্তী বলেছেন, ‘সাগরের তাপমাত্রা যখন উষ্ণ থাকে, তখন এটি শক্তি সঞ্চয় করে। এর ফলে সাগরে যখন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তখনই সঞ্চিত শক্তি ঘূর্ণিঝড় এর মাধ্যমে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। এর ফলে সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি প্রশমিত হওয়ার জন্য স্থলভাগের দিকে ধাবিত হয়।’ বিস্তৃত ভাবে বলতে গেলে, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির বেশী হলেই সেই অঞ্চলেই নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে..