বিশ্বে প্রতি ৪ সেকেন্ডে না খেতে পেয়ে মৃত্যু একজনের
ত্রিপুরা , ২৩ সেপ্টেম্বর : অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শুধু মাত্র অতিমারী পর্বেই বিশ্বে ধনকুবেরদের সম্পত্তি বেড়েছে লাফিয়ে। তার সঙ্গে বেড়েছে খাদ্যের সংকটও। এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে ভারতের উদাহরণ। চলতি বছরেই বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় দু’নম্বরে উঠে এসেছে আলানি গোষ্ঠী। অম্বানি গোষ্ঠী রয়েছে প্রথম দশের মধ্যে। আর এই দেশই ২০২১ সালে বিশ্বের সুধাসূচকের তালিকায় ১১৬টি দেশের মধ্যে ছিল ১০১ নম্বরে। ২০১৪ সালে এই তালিকায় ভারত ছিল ৫৫ নম্বরে। অর্থাৎ মাত্র আট বছরে দেশে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে করে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, সামাজিক অসাম্য, সম্পদের অন, সরকারি নীতির বাই ভারতে না যেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির আসল কারণ।
গোটা দুনিয়ার ছবিটা তার থেকে আলাদা নয়। প্রতি চার সেকেন্ডে একজন।
শ্রেফ না খেতে পেয়ে দুনিয়াজুড়ে এখন এই রকম বস্তুত, দুর্ভিক্ষের ছায়া সবচেয়ে বেশি গ্রাস করেছে আফ্রিকা মহাদেশকে। ইয়েমেনের একটি স্বেচ্ছাসেবী কালে এলাবালি বলেন, “কোনও একটা দেশ বা একটা মহাদেশের সমসর নয় এটা। মুর্তিক কোনও একটা কারণে হয় না। মানবতার প্রতি অবিচারই এর আসল কারণ। এক দল মানুষ যখন রে আয়োজনে মগ্ন, অন্য দলের কাছে প্রচারে তোরটুকুও নেই। দেরি না করে সকলকে এদিয়ে আসার ডাক দিয়ে কেনা বলেন, “অভুক্ত মানুষের পাশে যে যতটা পারেন, পীড়া প্রাণ বাঁচান।” সোমালিয়ার পাশাপাশি ইথিওপিয়া, নাইজিরিয়া, ইয়েমেনের মতো দেশগুলিতেও লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মরণাপন্ন। ইথিওপিয়ার সীমা সোমালি এক এক শরণার্থী শিবিরে চার স্থানকে নিয়ে থাকেন । তিনি বলছিলেন, “যাবার নেই, জল নেই, অর্থহীন একটা জীবন। ছেলেমেয়েরা ঠিক করে খেতে পায় না। চরম অনুষ্ঠিতে ভুগছে। পেলে ওরা মরেই যাবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার শিকড়ে গেে সংকটের হাজারটা কারণ দেখা হবে। দারিদ্র্য, সামাজিক অন্যায়, লিঙ্গবৈষম্য, কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তার পাশাপাশি অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো সাম্প্রতিক কারণগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রাস্ফীতি অর্থনৈতিক কারণে নিত্যপণ্যের দাম ক্রমশ বাড়ে সংকটও বাড়ছে।
বিশ্ব উন্নান, কর্মহীনতার ছায়ায় ঢাকা দুনিয়ার সামনে এমনই জাতকের ছবি নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৭তম সাধারণ সভায় তুলে ধরলেন দুশোরও বেশি স্বেচ্ছাসে কর্তাব্যক্তিরা। একটি খোলা চিঠিতে একটি দেশের ২০৮টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই সমস্যার প্রতিকারের জন্যে সব দেশকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছে। নগুলির পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বের ৩৪.৫ কোটি মানুষ মান সংকটে ভুগছে। খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে ৫টি দেশের আরও ৫ কোটি বাসিন্দা। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর মান্য সংকটে ভুগতে থাকা মানুষের সংখ্যা প্রায় ছিলা হয়ে গিয়েছে। একবিংশ শতকের তাবড় নিয়েছিলেন বিশ্বকে আর দুর্ভিক্ষ দেখতে হবে না। সংগঠনগুলির ক্ষোভ, বাস্তবে তা হচ্ছে কোথায় সোনালিয়া আৰু দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে। দুর্ভিক্ষ এড়াতে চাইলে অবিলম্বে সব দেশের এখনই একজোট হয়ে এগিয়ে আসা দরকার।