ভরতুকি বন্ধই, তবু রান্নার গ্যাসে লোকসান দেখছে কেন্দ্ৰ
ত্রিপুরা, ১৩ অক্টোবর : রান্নার গ্যাসে ভরতুকি তুলে দেওয়া হয়েছে। বিপুল দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের। বর্তমানে কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডার বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৯ টাকা। তবুও নাকি রান্নার গ্যাস বিক্রিতে লোকসান টানতে হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোপণ্য বিপণন সংস্থাকে। বুধবার এই আক্ষেপ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এটা কি আবার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোর? এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক সেরে মন্ত্রী ঠাকুর আক্ষেপের সঙ্গে তিন পেট্রো পণ্য বিপণন সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের রান্নার গ্যাস বিক্রিতে লোকসানের কথা জানান।
তিনি জানান এই লোকসানের বোঝা কমাতে তিন সংস্থাকে এককালীন ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
তিনি জানান বিশ্বের বাজারে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে। তার মধ্যেও ‘কম দামে’ গ্রাহকদের রান্নার গ্যাস সরবরাহ করে চলেছে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। তাদের লোকসানের ভাব কমাতে মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এদিন তিন সংস্থাকে এককালীন অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে রান্নার গ্যাসের দাম বিপুল হারে বাড়নোর পরও এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার লোকসানের বাহানা কেন এই প্রশ্ন উঠছে। ফের রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানোর এটা একটা অজুহাত বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। মোদি সরকার নয়া উদারবাদের নিয়ম মেনে রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে সরকারি নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে দিয়েছে। বিশ্বের বাজারের দরের সঙ্গে সমতা রেখে নিয়মিত দাম সংশোধন হয়। ফলে এই সময়ে বিপুল হারে সব জ্বালানির দাম বেড়েছে। রান্নার গ্যাসে যে ভরতুকি ছিল তা এখন অতীত। প্রায় এখন দাম বাড়ে রান্নার গ্যাসের। কিন্তু এদিন মন্ত্রী ঠাকুর দাবি করলেন, তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নাকি সরকারি নিয়ন্ত্রিত দামে গ্রাহকদের রান্নার গ্যাস বিক্রি করে থাকে। তিনি আরো জানান ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন অবধি সরকারি নিয়ন্ত্রণে খুব কম দামে..