ভারতীয় টাকার রেকর্ড পতন
ত্রিপুরা , ২৩ সেপ্টেম্বর : ভারতীয় মুদ্রার দাম আরও কমল। বৃহস্পতিবার ডলার প্রতি বিনিময়মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮০.৫৮টাকা। এই মাত্রায় কখনও নামেনি টাকার দাম। দেশের ইতিহাসে টাকার দাম সর্বনিম্ন হতে শুরু করেছে কয়েকমাস ধরেই। জানুয়ারি থেকে ৯ শতাংশের বেশি কমে গেছে দাম। ডলার প্রতি ৮০ টাকার বিপজ্জনক সীমা আগেই ছাড়িয়েছে। তারপর কিছু উন্নতি ঘটলেও এবার বড় রকমের পতন হয়েছে। মূলধনী বাজারের বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এদিন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ফের বাড়িয়ে দেওয়ায় তার প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া পড়ছে অনেক দেশের মুদ্রার মূল্যেই। অতীতে রিজার্ভ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করলেও সেই ক্ষমতা কমে এসেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। যখন বিদেশি মূলধনের প্রবাহ ভালো থাকে তখন সঞ্চয় করা হয় অস্থিরতার সময়ে তা ব্যবহার করার জন্যই। বৃষ্টির সময়ে ব্যবহার করা হবে বলেই ছাতা কিনে রাখা হয়। কিন্তু সেই ‘ছাতা’ দ্রুত ফুটো হয়ে গেছে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় কমে গেছে। ডলারের বহির্গমন ভারতীয় মুদ্রা বাজারে গুরুতর সংকট তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রিজার্ভ ব্যাংক হস্তক্ষেপ না করে তাহলে অতি দ্রুত টাকার দাম ডলার প্রতি ৮২ টাকায় পৌঁছে যাবে।
প্রায় প্রতিদিন কমতে কমতে রীতিমতো খোলামকুচিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণাই করছিলেন, মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্যে ভারতীয় টাকা ৮০ টাকায় পৌঁছাবে। তবে তা সেপ্টেম্বর নাগাদ হবে। কিন্তু সেই স্তরে নেমে যায় জুলাইয়ের প্রথমার্ধেই। ৮০ টাকাকে এমন একটি মাপকাঠি বলে ভাবা হয় যেখানে মুদ্রার অবনমন চূড়ান্ত খারাপ পর্বে পৌঁছে গেছে বলে চিহ্নিত করা হয় । নরেন্দ্র মোদি যখন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন টাকার দাম ছিল ডলারপ্রতি ৫৮.৬২ টাকা। আট বছরে ভারতীয় মুদ্রার দাম কমেছে ২২ টাকার বেশি। ভারতে মুদ্রাস্ফীতিও একটি বড় কারণ। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি গত আট মাস ধরে চড়া হারে ৭শতাংশের উপরে রয়েছে। খাদ্যপণ্য ও ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির হার ১২ শতাংশের উপরে। তার ফলে আমদানির খরচ বেড়ে গেছে। একই পণ্যের জন্য দেশের বাজারে এবং বিদেশ থেকে জিনিস কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। টাকার মূল্য কমে যাবার এটি বড় কারণ ।