ভাষণে চমকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরা , ২৪ সেপ্টেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ বিধানসভার দ্বাদশতম অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ডক্টর মানিক সাহার প্রথম উপস্থিতি, এবং তার বক্তব্য কি থাকে এবং এই বক্তব্যকে এদিন অনেকেই রাজনৈতিক হাড়িকাঠে ফেলে চুলচেরা বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বাদশ বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন, মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সাংগঠনিক কাজকর্ম তো বটেই, মন্ত্রিসভার সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা সামলান সেদিকে নজর ছিল অনেকেরই।
তবে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই যে ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞ বক্তব্য ডক্টর মানিক সাহা রেখেছেন তাতে কিন্তু ১০০ তে ৯০ নম্বর পেলেন ডক্টর মানিক সাহা এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে শুরু হল দ্বাদশ বিধানসভার দ্বাদশ তম অধিবেশন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর শুক্রবার প্রথম বারের মতো বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। অধিবেশনের শুরুতেই এদিন আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় ও সুসংগঠিত করার জন্য বিধানসভার সকল সদস্যদের গঠন মূলক আলোচনা করার আহ্বান জানান। এদিন তিনি বলেন, প্রধান সভা নির্বাচনে অনেকেই অংশগ্রহণ করে, কিন্তু জনগণ যাদেরকে বিশ্বাস করে ও যাদের উপর আস্থা রাখতে পারে তাদেরকেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত করে জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিধানসভায় পাঠান। তাই জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব মানুষের স্বার্থে কথা বলা, এবং মানুষের স্বার্থে গঠনমূলক আলোচনা করা । জনগণের বিশ্বাস, আস্থা জনপ্রতিনিধিদের ওপর রয়েছে বলেই সাংবিধানিক আদর্শ মেনে শাসক ও বিরোধী সকলের আলোচনায় অংশগ্রহণ করা উচিত। আর তাহলেই গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে জনকল্যাণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অনেক সহজ হবে। দলীয় রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ পরিহার করে অধিবেশনে প্রত্যেক সদস্যকেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করা প্রয়োজন বলে এদিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। বিধানসভায় শাসক দল এবং বিরোধী সকলের গঠন মূলক আলোচনা ও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরী বলে তিনি জানান। আর এই ধরনের সম্পর্ক শাসক দল ও বিরোধীদের মধ্যে তৈরি হলে, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গল জনক । এর ফলে বিধানসভার গরিমাও বৃদ্ধি পায়, এবং সেটা ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে এদিন নিজের আলোচনা করতে গিয়ে এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। পাশাপাশি এদিন নিজের বক্তব্যে বাস্তবকে সামনে রেখে বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যকে গঠন মূলক আলোচনা করার আহ্বান জানান তিনি । ডক্টর মানিক সাহা এদিন আরও বলেন, বিগত দিনে বিধানসভার সকল সদস্য-সদস্যা বিধানসভা পরিচালনার জন্য যে ভাবে অধ্যক্ষকে সহযোগিতা করেছেন, আগামী দিনেও সেই ভাবে সহযোগিতা করবেন এমনটাই তার ধারণা । পাশাপাশি নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বিধানসভার সকল সদস্য সদস্যাদের শারদোৎসবের আগাম শুভেচ্ছাও জানান ।