ভোজ্য তেল মজুতের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কেন্দ্রের
ত্রিপুরা, ৩ নভেম্বর : রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর আগুন লেগেছিল হেঁশেলে। চড়চড়িয়ে দাম বেড়েছিল ভোজ্য তেলের। তবে এখন বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়েছে খানিকটা। দেশীয় বাজারেও খানিকটা স্থিতিশীল ভোজ্য তেলের দাম। এই আবহে ভোজ্য তেল ও তৈল বীজের মজুতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সরকার। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। ফলে তৈল বীজ ও ভোজ্য তেল মজুত রাখার ক্ষেত্রে আর কোনও ঊর্ধসীমা থাকবে না। সরকারের এই ঘোষণায়, পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের ভোজ্য তেল মজুত রাখার ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধসীমা মেনে চলতে হবে না।
করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে অর্থনীতিতে মন্দা। তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
সব মিলিয়ে দেশীয় বাজার মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ বাড়িয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়েছল সরকার। সেই কারণে এর আগে উপভোক্তা আইনের অধীনে বিক্রেতাদের তেল মজুতে ঊর্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। প্রসঙ্গত, অতিমারি ও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বে সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত ঘটায় এই বছরের প্রথমার্ধে ভোজ্য তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। সেই সময় গত এক দশকে সর্বোচ্চ হয়েছিল তেলের দাম। বিশ্বে সূর্যমূখী তেলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হল রাশিয়া ও ইউক্রেন। ভারত তার প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের ৭০ শতাংশই বাইরে থেকে আমদানি করে। ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়ে দেশীয় বাজারেও। আর সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বাড়ায় দামও নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিছুটা। দেশীয় বাজারেও স্থিতিশীল তেলের দাম। তাই এবার ভোজ্য তেল মজুত রাখার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলল কেন্দ্র। এর পক্ষে সরকারের যুক্তি, নিষেধাজ্ঞা তোলায় বেশি পরিমাণ ভোজ্য তেল ও তৈল বীজ সংগ্রহ করা হবে। ফলে দেশীয় বাজারে দাম কমতে পারে তেলের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এর উল্টোটাও ঘটতে পারে। বাজারে তেলের ঘাটতি দেখা দিলে তখনও যদি মজুত রাখা হয় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে চাহিদা। সেই সময় বাজারে ব্ল্যাক হওয়ার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে।