মমতার স্বপ্নের ‘দীঘাশ্রী’ এখন রূপ নিচ্ছে হোটেলে
ত্রিপুরা , ২৫ সেপ্টেম্বর : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রভূত উন্নতি দীঘায়। শুধুমাত্র বাঙালি নয়, সারা দেশের পর্যটকদের ঢল এই মুহূর্তে দীঘার পর্যটন ব্যবসাকে চাঙা করে তুলেছে বলে দাবি দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের। বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাপূরণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে দীঘা সেজে উঠেছে নতুন রূপে। ওসেনিয়াতে নতুন বিচ থেকে শুরু করে ঢেউসাগর পর্যটকদের নতুন ঠিকানা। তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ ধাম, যা শুধুমাত্র বঙ্গ নয়, সারা দেশের জগন্নাথ ভক্তদের নজর কাড়বে।
দীঘার নতুন গর্ব সৈকত সুন্দরী রোড, যা দীঘা থেকে তাজপুর, মন্দারমণি হয়ে কাঁথি পর্যন্ত গিয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে তার উদ্বোধনও ঘটেছে। পর্যটকদের এখন আর দীঘা থেকে মন্দারমণি পর্যন্ত যেতে কসরত হবে না। দ্য ব্যানিয়ান ট্রি গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রবীর রায় চৌধুরীর মতে, দীঘা ঘোরার পাশাপাশি মন্দারমণিটাও ঘুরে যাওয়ার সহজ রাস্তা হয়ে গেল সৈকত সুন্দরী রোড বা মেরিন ড্রাইভ। এরই মধ্যে শুক্রবার সৈকতাবাস আবার নতুন করে পথচলা শুরু করল। তবে তা আর সরকার চালাবে না। ব্যক্তিগত মালিকানায় নতুন রূপে সেজে উঠেছে সৈকতাবাস। এদিকে, দীঘায় গড়ে তোলা কনভেনশন সেন্টার, মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছিলেন ‘দীঘাশ্রী’, সেই কনভেনশন সেন্টার পার্ক হোটেল ত্রিশ বছরের লিজে দখল নিতে চলেছে। ২০১৯ সালে বেঙ্গল বিজনেস সামিটের জন্য রাজ্য সরকার সাড়ে পাঁচ একর জমিতে সত্তর কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তুলেছিল হাজার আসনের এই কনভেনশন সেন্টার। কিন্তু বিজনেস সামিটের পর এই কনভেনশন সেন্টার সেই ভাবে কাজে লাগছিল না। অথচ কনভেনশন সেন্টারের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের কোষাগার থেকে বহু টাকা ব্যয় হচ্ছিল, তাই মুখ্যমন্ত্রীর গর্বের এই ‘দীঘাশ্রী’কে পিডব্লুডি তুলে দিচ্ছে পার্ক হোটেল গ্রুপের হাতে। কনভেনশন সেন্টারের বাষট্টিটি ঘর সহ পাঁচ একর জমিতে পার্ক হোটেল খুব শীঘ্রই শুরু করতে চলেছে তাদের হোটেল ব্যবসা।