মহা ষষ্ঠীতেও ধর্ণায় বাংলার এস এস সি চাকরি প্রার্থীরা
ত্রিপুরা, ২ অক্টোবর : ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত নবম-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হয় সেখানে মেধাতালিকায় নাম্বার প্রকাশ না করা, গেজেটকে লঙ্ঘণ করে ১:১.৪ অনুপাত না মেনে অনৈতিকভাবে নিয়োগ, এস এম এসে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের নিকট যে অনশন হয়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত হয়ে মেধাতালিকাভুক্ত সকল বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর নিয়োগের আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ণ না হওয়ায় ২০২১ সালে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক গেট নং ৫ এর সন্নিকটে উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে চলে ১৮৭ দিনের অবসান বিক্ষোভ।
নিয়োগের প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও তার বাস্তবায়ণ না হওয়ায় ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলে অনির্দিষ্টকালীন অবসান, তিন দফা মিলে যা ৫৬৬ দিনে পড়েছে।
দুর্নীতির দায়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী, এস এস সির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি, এস এস সির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্য হেফাজতে থাকলেও এবং ৮০০০ এর ও অধিক ভুয়ো নিয়োগ ধরা পড়লেও বঞ্চিতরা এখনো ন্যায় বিচার পায়নি। মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী চন্দন প্রধান, প্রকাশ ঘোষ, বিমল দাস, আব্দুর রহমান, এম ডি রাকিব হোসেন; ইকবাল হাসান মল্লিক, পিনাকি ঘোষ, সুখেন সরকার, সুদীপ মন্ডল, লক্ষী পাল জানিয়েছেন- ‘মহামান্য উচ্চ আদালত ও মানবিক সরকারের তত্ত্বাবধানে অতি দ্রুত মেধাতালিকাভুক্ত সকল বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাক’। ধর্ণামঞ্চেই কেটেছে তাদের সরস্বতী পূজা, লক্ষীপূজা, বাসন্তীপূজা, বড়দিন, রমজান মাস। সরকার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বঞ্চিত সকল চাকরিপ্রার্থীর জন্য প্রায় ১৫000 সুপার নিউমেরারী পোস্ট সৃষ্টি করলেও আদালতে মামলার নিস্পত্তি না হওয়ায় দূর্গাপূজোর আগে তারা নোটিফিকেশন এর আশা রাখলেও তার বাস্তবায়ণ হয়নি। তারা আশা রাখেন মহামান্য উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে এবং সরকার পক্ষের সদিচ্ছায় অতি দ্রুত বঞ্চিত সকল চাকরীপ্রার্থীকে অতি দ্রুত নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে।