রাজ্য সরকার নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে : শিক্ষামন্ত্রী
ত্রিপুরা, ২১ ডিসেম্বর : নারী শিক্ষার অগ্রগতির উপর একটি দেশের ও রাজ্যের মান নির্ভর করে৷ রাজ্য সরকার নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে৷ আগে ১ হাজার ছাত্র বিদ্যালয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ছাত্রীর সংখ্যা থাকত ৯৬৬ জন৷ বর্তমান সরকার আসার পর বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতির সংখ্যা বেড়েছে৷ এখন ৯৮৬ জন ছাত্রী সুকলে যাচ্ছে৷ বেটি বাচাও, বেটি পড়াও কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ণের ফলে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ১ হাজার জন ছাত্র সুকলে গেলে তুলনায় ছাত্রীরা যাচ্ছে ১ হাজার ১১ জন৷ আজ মোহনপুরের ছেচুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজ্যভিত্তিক রান্না প্রতিযোগিতা-২০২২এর উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ মোহনপুর পুর পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে পুর পরিষদভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলনেরও উদ্বোধন করেন৷ মোহনপুর পুর পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত লাভার্থী সম্মেলনে সেলাই মেশিন, শীতব’, খেলাধূলার সামগ্রী, বাদ্যযন্ত্র এবং মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মার্টফোন বিতরণ করা হয়৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারপার্সন শংকর দেব, কাউন্সিলারগণ, মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায় প্রমুখ৷ ছেচুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে রান্না প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, বিভিন্ন সুকলের মিড-ডে-মিল রান্নার গুণগতমান বজায় রাখার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, সারা রাজ্যে সুকলগুলিতে যারা মিড-ডে-মিল রান্না করেন বা ভোজন মাতা তাদের সংখ্যা ১১ হাজার ১০৭ জন৷ বর্তমান সরকার আসার পর তাদের মজরি বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হচ্ছে৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর প’ায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীনা দেববর্মা, ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, সাতডুবিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অনিমা সূত্রধর, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, ছেঁচুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গায়েত্রী দেববর্মা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছেঁচুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন বিশ্বাস৷