Feature Newsfleshএই মুহূর্তেত্রিপুরা

রাত পোহালেই অষ্টমী, দোকানপাটে তেমন বিক্রি নেই, ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

ত্রিপুরা, ২ অক্টোবর : চাঁদার পাহাড় জমেছে বটে, কিন্তু পূজো পূজো গন্ধ কই! দোকানীরা রকমারি কাপড় সাজিয়ে বসে, ক্রেতার দেখা নাই আর্থিক মন্দার পাশাপাশি হাতুড়ি মেরেছে অনলাইন শপিং। পূজোর ঘন্টা বেজে গেছে অথচ টাকার অভাবে অনেকেরই কাপড় কেনা এখনও হয়নি। যার ফলে সানীয় বাজার শূন্য। কারন পয়সাওয়ালারা অনলাইন শপিং এর মাধ্যমে ঘর ভরে ফেলেছে পূজোর কেনা কাটায়। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের ভরসায় সানীয় কাপড় ব্যবসায়ীরা। শোধ করে টাকা এনে তারা পূজোর কাপড়ে দোকান ভড়েছে। কিন্তু বেচাকেনার বাস্তবচিত্র লক্ষ্য করে ব্যবসায়ির কপালে চিন্তার ভাজ। তার উপর রয়েছে বাজারে বাজারে পুজোর চাঁদা মেটানোর তাগিদ। যারা বাজারে বাজারে ফেরি করেন তাদের অবসা আরও শোচনীয়। প্রতি বাজারেই তিন চার ক্লাব ও পুজো কমিটির মিষ্টি গরম আবদারে চাঁদা মেটানোর যন্ত্রণা। চাঁদার ভয়ে অনেকেই একাদিক বাজারে ফেরি করা বাদ দিয়ে দিয়েছে।

সাংবাদিক সন্মেলন করে সরকারি কর্মচারীদের পূজোর বোনাস ঘটা করে প্রচার করা হয়েছে।

রাজনৈতিক ফায়দা কি হল না হল জানা নেই। কিন্তু নামমাত্র বেতন পাওয়া আশাকর্মী বা স্কুলের রাধুনিদের মুখে হাসি ফোটার কিছু ছিল না তা নিশ্চিত করে বলা যায়। মাত্র ১৭০০ টাকা মাইনে পাওয়া স্কুল রাধুনিদের দ্রব্যমূল্যের আকাশছোয়া বাজারে পূজোর বাজার কি হবে তা স্পষ্ট। তাদের বেতনের চেয়ে অফিসার আমলারা বোনাসই পেয়েছেন বেশি। মোটা মাইনে পাওয়া কর্তাদের এই বোনাসের কি প্রয়োজন ছিল? অথচ এই টাকাটাই যদি ১৭০০ টাকা মাইনে পাওয়া স্কুল রাধুনিরা পেতো তাহলে তাদের ঘরে এক মুঠো খুশি পৌঁছে দেওয়া যেত। এটা বাস্তব যে পূজোর মন্ডপে ভীড় হউক অথবা সানীয় কাপড় ব্যাবসায়ীদের বেচাকেনা সিংহভাগই নির্ভরশীল মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের উপর কারন মোটা বেতনভোগী বাবুদের ঘরে পুজোর ছুটিতে কাশ্মীর না দার্জিলিং এ নিয়ে চর্চা চলবে বেশি। বাজারে আসার সময় কোথায়? তাই অনলাইনেই বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় পাওয়া যায় ঘরে বসেই। ছেলে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যাদের বাজার করার ইচ্ছে প্রবল, তাদের কাছে টাকা নেই। একদিকে যেমন অনলাইনে আনা কাপড়ের দামের সাথে কোয়ালিটি নিয়ে চর্চা চলছে, অন্যদিকে দিনমজুর বাবা সারাদিন কাজ করেও ছেলের জন্য ফুটপাত থেকে একটি জামা কেনার টাকা জোগার করতে পারছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *