Feature NewsfleshNewsত্রিপুরা

শারদোৎসবে মাছি তাড়াচ্ছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা!

ত্রিপুরা , ২২ সেপ্টেম্বর : বুধবারের পড়ন্ত বেলা। ঘড়িতে তখন প্রায় চারটে বাজে। রাজধানীর হকার্স কর্নার, সূর্য চৌমুহনি, শকুন্তলা রোড, কামান চৌমুহনির সমস্ত কাপড় দোকানগুলি খোলা থাকলেও দেখা মিলছিলো না ক্রেতা সাধারণের। কোন কোন কাপড় দোকনি সারা দিন বসে থেকেও কিছু বিক্রি করতে পারেননি। শারদ উৎসবের প্রাক্ মুহূর্তে ব্যবসায় এ ধরনের ভাটা চিন্তার ভাজ ছোট বড়ো মাঝারি কাপড় ব্যবসায়ীদের কপালে। মানুষের হাতে টাকা না থাকাকেই এই অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন অনেকে। পোস্ট অফিস চৌমুহনিতে রিকশা থেকে নেমে হকার্স কর্নারের দিকে এগোতেই চোখ পড়লো রাস্তার ঠিক পাশের কাপড় দোকানগুলির দিকে।

করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।

সেই হিসাবে আসন্ন শারদ উৎসব উপলক্ষ্যে শহরের এসকল দোকানগুলির মধ্যে ক্রেতাদের ঠাসা উপস্থিতি থাকার কথা। কিন্তু বাস্তব তার উলটো কথা বলছে। প্রত্যেক কাপড় দোকানি দোকানের ভিতর ও বাইরের দিকে রকমারি পোশাক ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সেই হিসাবে দেখা মিলছে না খন্দেরের। অনেক দোকানি। ক্রেতার অপেক্ষায় বাইরের দিকে মুখ করে বসে আছেন। কখন একজন ক্রেতা আসে। শুধু হাস কর্নার নয় শহরের সূর্য চৌমুহনি, শকুন্তলা রোড ও কামান ব্যবসায়ীদের মুখে মুখে। চৌমুহনির সমস্ত কাপড় দোকানগুলির চিত্র ছিলো প্রায় একই রকম। গ্রামে রেগার কাজ ঠিক মতো হয় না। কাজ যাই হয় তারও মজুরি ঠিক মতো পাওয়া যায় না। শহরের টুয়োপের অবস্থাও ঠিক একই রকম। এছাড়া রয়েছে অনলাইন কেনাকাটা। গরিব মানুষ বাজারে নেই টাকার অভাবে, পয়সাওয়ালারা ঝুঁকেছে অনলাইনে। ফলে মাছি তাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এসকল কারণকেই আলোচনা করতে দেখা গেছে কাপড় ব্যবসায়ী বাবুল দে জানান, ব্যবসা মোটেও ভালো চলছে না। দিল্লি কলকাতাসহ অন্যান্য রাজ্য থেকে রকমারি পোশাক এনেছেন বিক্রির জন্য। কিন্তু খদ্দেরের দেখা মেলা ভার। সকাল দশটা থেকে বিকাল তখন প্রায় চারটে তারপরেও কিছুই বিক্রি করতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আগে গ্রাম থেকে লোকজন শহরে আসতেন কেনাকাটা করতে। এখন তো প্রায় সেই চিত্র দেখাই যাচ্ছে না। সম্ভবত এর নামই জিজ্ঞেস করতেই হকার্স কর্নারের কাপড় দোকানি রতন কুমার সাহা জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি এই ব্যবসার সাথে যুক্ত। কোভিডের কারণে বিগত বছর দুয়েক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এ বছর তা স্বাভাবিক। তবুও ক্রেতা সাধারণের দেখা মিলছে না। মানুষের হাতে টাকা না থাকাতে উৎসবের মরশুমেও জামা কাপড় কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না তারা অপর সুশাসন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *