Feature Newsfleshকরোনাবিশ্ব

হঠাৎ কোভিড-আতঙ্কে ব্রাজিল

ত্রিপুরা, ৩ ডিসেম্বর : ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে আমূল বদলে গিয়েছে নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র, রিচার্লিসনদের অন্দরমহলের আবহ। একাধিক ফুটবলার হঠাৎ অসুস্থ। করোনা আতঙ্কে কাঁপছে ব্রাজিল শিবির! ফুটবলারদের উপরে হোটেলের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। বুধবার বিকেলে দোহার আর আরবি স্পোর্টস ক্লাবের অনুশীলনে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোড়ালিতে চোট পেয়ে নেমার মাঠ ছেড়েছিলেন।

সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি।

শুক্রবার ক্যামেরুনের বিরুদ্ধেও তিতে পাবেন না তাঁকে। কিন্তু ব্রাজিল শিবিরে চিন্তা বাড়ছে নেমার-সহ একাধিক ফুটবলার অসুস্থ হয়ে পড়ায়। এই তালিকা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। জ্বর হয়েছিল বলে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখতে আসতে পারেননি প্যারিস সঁ জরমঁ তারকা। এ বার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আলেক্স সান্দ্রো, অ্যান্টনি ডস স্যান্টোস, অ্যালিসন বেকার, লুকাস পাকেতা, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহা-সহ একাধিক ফুটবলার। কারও হালকা জ্বর ও গায়ে ব্যথা রয়েছে। কেউ কেউ আবার এর সঙ্গে বমিও করছেন। অর্থাৎ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সব রকম উপসর্গ থাকায় উদ্বেগে ব্রাজিল শিবির। কাতারে করোনা নিয়ে ন্যূনতম বিধিনিষেধও নেই। কেউ মুখাবরণ ব্যবহার করছেন না। ফুটবলারদের বাধ্যতামুলক কোভিড পরীক্ষার নিয়মও তুলে দিয়েছে ফিফা। ব্রাজিলের কর্তাদের আশঙ্কা, বিশ্বকাপের মধ্যে করোনো সংক্রমণ যদি ফের বাড়তে শুরু করে, বিপরায় এড়ানো অসম্ভব। চিন্তিত ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য বলছিলেন, “কাতারে কেউ মাস্ক পরছেন না। কোভিড সংক্রমণ রোখার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তে মারণভাইরাসের দাপট অনেকটা কম ঠিকই, আবার যে কোভিড রক্তচক্ষু দেখাবে না, তার কি কোনও নিশ্চয়তা আছে?” যোগ করেন, “কাতারে দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম। রাতে তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তার উপরে স্টেডিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে।” অ্যান্টনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “শুরুর দিকে অস্বস্তি হত। একা আমার নয়, দলের অনেকেরই কাশি হয়েছে। স্টেডিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এই সমস্যা বলে আমার ধারণা। “আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবলারদের মধ্যেও। মঙ্গলবার যে হেতু অনুশীলনের প্রথম ১৫ মিনিট সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত ছিল, তাই মাঠেই নামেননি অ্যালিসন। হোটেলের জিমেই ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন। সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের পরে রাফিনহা ‘মিক্সড জোন’ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলেন হাত দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *