ভিলেজ নির্বাচন নিয়ে হাওয়া গরম হচ্ছে পাহাড়ে ধোঁয়াশা অনেক

ত্রিপুরা , ২২ সেপ্টেম্বর : ভিলেজ ভোটের নির্ঘণ্ট এখনো চূড়ান্ত হয়নি।চূড়ান্ত খসড়াভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে মাত্র। আমবাসা ব্লক এলাকায় মোট ভিলেজের সংখ্যা ১৫ টি। আসন সংখ্যা ১১৩ টি । গঙ্গানগর ব্লকেরভিলেজের সংখ্যা ৭টি। মোট আসন সংখ্যা৫১ টি। আমবাসা ব্লকের পনেরোটি ভিলেজে মোট ভোটার ২০হাজার ৭৯২জন।গঙ্গানগর ব্লকের ৭টি ভিলেজে মোট ভোটার ৭৪০০জন। দুটি ব্লকের প্রস্তাবিত নতুন এবং পুরাতন ভোটকেন্দ্রগুলি পরখ করতে মাঠে নেমে পড়েছেন বিডিও তথা ভিলেজ নির্বাচন আধিকারিকরা। তাদের দৌড়ঝাঁপ দেখে বিষয়টা পরিষ্কার, নির্বাচন দোরগোরায়। শাসকদল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের বক্তব্য, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট হতে পারে। তবে ভিলেজ ভোটের ঢাকে কিন্তু কাঠি পড়ে গেছে। শাসক দলের পাশাপাশি তিপরা মথা সহ বিরোধী দলগুলিও বিশেষ করে সিপিআইএম যেভাবে পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে। তা থেকেই বিষয়টা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আবার অনেকের মতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হয়তো ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনকেও এগিয়ে নিয়ে আনতে পারে। তার পেছনে অবশ্য নানাজন নানা যুক্তি তুলে ধরতে চাইছেন। যাই হোক,ভিলেজ ভোট বা আগামী বিধানসভা ভোট নিয়ে যুক্তিতর্ক চলবেই। রাজ্যের এডিসি এলাকার তথা খুমলুঙের পরিচালক যেহেতু প্রদ্যোৎ কিশোরের তিপরা মথা দল। তাই তার দলের নেতাকর্মীরা চূড়ান্ত আশাবাদী, ভিলেজ ভোটের মাধ্যমে পাহাড় দখলে তিপরা মথাই এগিয়ে। তবে বিষয়টা কিন্তু কঠিন আকার ধারণ করতে চলেছে। রাজ্যের বর্তমান শাসকদল বিজেপির সাথে প্রদ্যোতের সাম্প্রতিক হাবভাব
মেনে নিতে পারছে না পাহাড়বাসীর একাংশ। শাসক দলের সাথে গাঁটছাড়ায় আবদ্ধ হলে হয়তো আইপিএফটি দলের মতোই পাহাড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যেতে পারে তিপরা মথা দল। গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি মানার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের যে দল কথা দেবে বা লিখিত দেবে, সেই দলের সাথেই জোট করবে তিপরা মথা এই বক্তব্য এখনো প্রদ্যোৎ বলে চলেছেন। রাজ্যে,গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না জাতীয় দল বিজেপি। তাহলে প্রদ্যোৎ কি জোটে যাবে জাতীয় দল বিজেপির সঙ্গে। যা নিয়ে তরজার লড়াই চলছে রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে। আবার কংগ্রেসের সাথে জোটে আসতে পারে এমনও প্রচার রয়েছে। ভিলেজ নির্বাচন ঘোষণার পরেই হয়তো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বর্তমানে,রাজ্যের শাসক দল ভিলেজ ভোটকে পাখির চোখ তথা বিধানসভা নির্বাচনের
সেমিফাইনাল বলে প্রচাবে রেখেছে। ভিলেজ ভোটে ভালো ফলাফল করতে না পারলে বিধানসভায় তার আঁচ তো পড়বেই। বর্তমানে আমবাসা মহকু মার দুটি বুক হলো, আমবাসা এবং গঙ্গানগর। দুটি ব্লকের প্রত্যন্তের পাড়া গুলিতে রয়েছে অনেক অভাব। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, রেগার কাজ সহ সময়মতো
মজুরি না পাওয়া। কিছুদিন পর পর সড়ক অবরোধ করতে হচ্ছে গিরিবাসীদের। অথচ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন করার কথা এডিসি
প্রশাসন তথা জোনাল এবং সাব-জোনাল গুলির। তা কিন্তু হচ্ছেনা। জোনাল বা সাব জোনাল গুলি গিরিবাসীদের উন্নয়নে তো কিছুই করছে না। এডিসি এলাকার উন্নয়নে রাজ্য সরকার না কি এডিসিকে প্রয়োজনীয় অর্থের মঞ্জুরি দিচ্ছেন না। অর্থাৎ পূর্বতন রাজ্যের বাম সরকার যেমনটি বলতো,কেন্দ্র দেয় না, কেন্দ্র দেয় না। তেমনি বর্তমান এডিসি প্রশাসনের পরিচালকরা বলতে চাইছে, এডিসি এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাজ্য দেয় না। তবে এডিসির ক্ষমতায় থাকা পরিচালকরা কাশলেও, ঝেড়ে কাশতে চাইছে না। এই মুহূর্তে মথার, অনেক নেতাই চাইছে না রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের সাথে জোটে গিয়ে লড়াই করুক দল। অন্যদিকে সিপিআইএমের উপজাতি সংগঠন গণমুক্তি পরিষদের নেতারা পাহাড়কে পুনরায় নিজেদের দখলে নিয়ে আসতে মরিয়া। নির্বাচনে কতটা মন জয় করতে পারে পাহাড়বাসীর, তা নিয়ে যথেষ্ট চিত্তায় রয়েছে সংগঠনের নেতারা। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বাধা দানের ফলে তেমন করে প্রচার বা মিটিং করতে পারছেনা সিপিআইএম দল বা জিএমপি সংগঠন এবং বর্তমান শাসকদলও। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী দিন পাহাড়ের ক্ষমতা কার হাতে যাবে বা যেতে পারে তার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে সকলকে। পাল্লা ভারী অবশ্য তিপরামথার দিকেই। তার পর ও জমি ছাড়ছে না শাসকদল বিজেপি বা পূর্বতন শাসকগোষ্ঠী সিপিআইএম। তবে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরে পরে চিত্র আরো স্পষ্ট হবে।তথা ভিলেজ নির্বাচন আধিকারিকরা। তাদের দৌড়ঝাঁপ দেখে বিষয়টা পরিষ্কার, নির্বাচন দোরগোরায় শাসকদল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের বক্তব্য, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট হতে পারে। তবে ভিলেজ ভোটের ঢাকে কিন্তু কাঠি পড়ে গেছে। শাসক দলের পাশাপাশি তিপরা মথা সহ বিরোধী দলগুলিও বিশেষ করে সিপিআইএম যেভাবে পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে। তা থেকেই বিষয়টা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আবার অনেকের মতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হয়তো ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনকেও এগিয়ে নিয়ে আনতে পারে। তার পেছনে অবশ্য নানাজন নানা যুক্তি তুলে ধরতে চাইছেন। যাই হোক,ভিলেজ ভোট বা আগামী বিধানসভা ভোট নিয়ে যুক্তিতর্ক চলবেই। রাজ্যের এডিসি এলাকার তথা খুমলুঙের পরিচালক যেহেতু প্রদ্যোৎ কিশোরের তিপরা মথা দল। তাই তার দলের নেতাকর্মীরা চূড়ান্ত আশাবাদী, ভিলেজ ভোটের মাধ্যমে পাহাড় দখলে তিপরা মথাই এগিয়ে। তবে বিষয়টা কিন্তু কঠিন আকার ধারণ করতে চলেছে। রাজ্যের বর্তমান শাসকদল বিজেপির সাথে প্রদ্যোতের সাম্প্রতিক হাবভাব মেনে নিতে পারছে না পাহাড়বাসীর একাংশ। শাসক দলের সাথে গাঁটছাড়ায় আবদ্ধ হলে হয়তো আইপিএফটি দলের মতোই পাহাড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যেতে পারে তিপরা মথা দল। গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি মানার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের যে দল কথা দেবে বা লিখিত দেবে, সেই দলের সাথেই জোট করবে তিপরা মথা এই বক্তব্য এখনো প্রদ্যোৎ বলে চলেছেন। রাজ্যে,গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না জাতীয় দল বিজেপি। তাহলে প্রদ্যোৎ কি জোটে যাবে জাতীয় দল বিজেপির সঙ্গে। যা নিয়ে তরজার লড়াই চলছে রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে। আবার কংগ্রেসের সাথে জোটে আসতে পারে এমনও প্রচার রয়েছে। ভিলেজ নির্বাচন ঘোষণার পরেই হয়তো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে ।বর্তমানে,রাজ্যের শাসক দল ভিলেজ ভোটকে পাখির চোখ তথা বিধানসভা নির্বাচনের
সেমিফাইনাল বলে প্রচাবে রেখেছে। ভিলেজ ভোটে ভালো ফলাফল করতে না পারলে বিধানসভায় তার আঁচ তো পড়বেই। বর্তমানে আমবাসা মহকু মার দুটি বুক হলো, আমবাসা এবং গঙ্গানগর। দুটি ব্লকের প্রত্যন্তের পাড়া গুলিতে রয়েছে অনেক অভাব। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, রেগার কাজ সহ সময়মতো
মজুরি না পাওয়া। কিছুদিন পর পর সড়ক অবরোধ করতে হচ্ছে গিরিবাসীদের। অথচ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন করার কথা এডিসি
প্রশাসন তথা জোনাল এবং সাব-জোনাল গুলির। তা কিন্তু হচ্ছেনা। জোনাল বা সাব জোনাল গুলি গিরিবাসীদের উন্নয়নে তো কিছুই করছে না।

এডিসি এলাকার উন্নয়নে রাজ্য সরকার না কি এডিসিকে প্রয়োজনীয় অর্থের মঞ্জুরি দিচ্ছেন না।

অর্থাৎ পূর্বতন রাজ্যের বাম সরকার যেমনটি বলতো,কেন্দ্র দেয় না, কেন্দ্র দেয় না। তেমনি বর্তমান এডিসি প্রশাসনের পরিচালকরা বলতে চাইছে, এডিসি এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাজ্য দেয় না। তবে এডিসির ক্ষমতায় থাকা পরিচালকরা
কাশলেও,ঝেড়ে কাশতে চাইছে না। এই মুহূর্তে মথার, অনেক নেতাই চাইছে না রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের সাথে জোটে গিয়ে লড়াই করুক দল। অন্যদিকে সিপিআইএমের উপজাতি
সংগঠন গণমুক্তি পরিষদের নেতারা পাহাড়কে পুনরায় নিজেদের দখলে নিয়ে আসতে মরিয়া। নির্বাচনে কতটা মন জয় করতে পারে পাহাড়বাসীর, তা নিয়ে যথেষ্ট চিত্তায় রয়েছে সংগঠনের নেতারা। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বাধা দানের ফলে তেমন করে প্রচার বা মিটিং করতে পারছেনা
সিপিআইএম দল বা জিএমপি সংগঠন এবং বর্তমান শাসকদলও। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী দিন পাহাড়ের ক্ষমতা কার হাতে
যাবে বা যেতে পারে তার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে সকলকে। পাল্লা ভারী অবশ্য তিপরামথার দিকেই। তার পর ও জমি ছাড়ছে না শাসকদল বিজেপি বা পূর্বতন শাসকগোষ্ঠী
সিপিআইএম। তবে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরে পরে চিত্র আরো স্পষ্ট হবে ।

Download App : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.insyssky.app.tripuranewsofficial

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *