ভোট বিভাজন নয়, বামপন্থীরা কংগ্রেসে আসুন সুদীপ
ত্রিপুরা, ২২ সেপ্টেম্বর : আরো এক দফায় রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর তছনছ করে দিলো জাতীয় কংগ্রেস। বুধবার প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সোনামুড়ার পরিচিত রাজনৈতিক মুখ ইদ্রিস মিয়া তৃণমূল ত্যাগ করে হাতে তুলে নিলেন কংগ্রেসের তেরঙ্গা। এদিন সোনামুড়াতে আয়োজিত কংগ্রেসের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের দুই পর্যবেক্ষক দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ডঃঅজয় কুমার, জরিতা লাইটফ্লাং প্রদেশ সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ প্রাক্তন বিধায়ক আশিস কুমার সাহা, প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া সহ অনান্যরা।
এদিনের আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ আরো একবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোট নিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন।
দলের জয় সুনিশ্চিত হবে যাদের সাথে জোট হলে তাদের সাথেই জোট করা হবে।এক্ষেত্রে অবশ্য তিপরামথা কেই ইঙ্গিত করলো বলে অভিমত অনেকের। বামেদের সাথে সরাসরি জোট গঠনের কথা না বললেও বামপন্থীদের কংগ্রেস শিবিরে সামিল হবার আহ্বান জানান তিনি।তিনও বলেন কংগ্রেসের একার পক্ষে হয়ত বিজেপিকে সরানো সম্ভব হবেনা। তাই ভোট বিভাজনের পথে না গিয়ে, ভোট বিভাজন করে শাসকদলকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে না দিয়ে বামপন্থীদের কংগ্রেসে সামিল হতে আহবান জানিয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বলেন,বামপন্থী এবং কংগ্রেসের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দুটো দলের লক্ষ্য এক, সমাজতন্ত্র গনতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এই তিনটি বিষয়ে দুই দলের মিল রয়েছে। ফলে বামপন্থীদের কংগ্রেসে সামিল হতে আহবান জানান। সুদীপ রায় বর্মণ দাবি করে বলেন একমাত্র কংগ্রেসের দ্বারাই সম্ভব পরিবর্তনের।দলের অনান্য বক্তব্যরাও এদিন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কে আক্রমণ শানিয়ে বক্তব্য রাখেন।,এই যোগদান সভায় ভারতীয় জনতা পার্টি,তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম দল ত্যাগ করে ৬৩৫ পরিবারের সর্বমোট ৩২২২ জন। ভোটার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে সামিল হয় বলে দাবি করে কংগ্রেস নেতারা।