শীঘ্রই আগরতলা-চিটাগাঙ বিমান পরিষেবা
ত্রিপুরা , ২৪ সেপ্টেম্বর : আগরতলা বিমানবন্দরের নাম যখন মহারাজা বীরবিক্রমের নামে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করা হয়েছিলো এই বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য। ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের টার্মিন্যাল ভবন তৈরি হয়েছে। এখন অপেক্ষা আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। আজ বিধানসভা অধিবেশনে বিধায়ক মিমি মজুমদারের আনা এই ইস্যুতে একটি বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, তিনি আশাবাদী খুব শীঘ্রই প্রথমে আগরতলা-চট্টগ্রাম এবং পরে আগরতলা-ঢাকা পরিষেবা শুরু হবে এবং মহারাজা বীর বিক্রম এয়ারপোর্ট আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের মর্যাদা পাবে।
মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই স্পাইসজেটকে আগরতলা-চট্টগ্রাম রুটে বিমান চালানোর বরাত দেওয়া হয়েছে।
বিমান চালাতে গিয়ে বিমান সংস্থার যাতে লোকসান না হয় তারজন্য রাজ্য সরকার ১৫ কোটির টাকা অনুমোদন দিয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী রাজ্যের রেল ও সড়ক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ধর্মনগর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ট্রেনের ডাবল লাইনের জন্য সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীর, পুরী এবং মুম্বাইয়ের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের সাথেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে ৯টি জাতীয় সড়কের কাজও চলছে বলে জানান তিনি। আরও ৪টি জাতীয় সড়কের অনুমোদন পাওয়া গেছে। মেলাঘর থেকে কাকড়াবন হয়ে উদয়পুর পর্যন্ত জলপথের সম্প্রসারণ এবং কৈলাসহর বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও বাড়বে পর্যটনের সংখ্যাও। এদিকে মন্ত্রী জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের আগে রাজ্যে কোনো সরকারই মহারাজা বীরবিক্রম মাণিক্য বাহাদুরকে যোগ্য সম্মান দেয়নি। বর্তমান সরকার এসে তার জন্যই মহারাজা বীর বিক্রমের নামে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়। এখানে উল্লেখ্য, বিধানসভায় বেসরকারি প্রস্তাবটি সমর্থন করে আলোচনায় অংশ নেন ট্রেজারী বেঞ্চের মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস এবং বিরোধী দলের বিধায়ক বিজিতা নাথ। আলোচনার পর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় ।