আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে
ত্রিপুরা , ২৪ সেপ্টেম্বর : রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আরও প্রায় পাঁচ মাস সময় হাতে থাকলেও রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিতে শুরু করেছে। বিরোধী দলগুলির লক্ষ্য একটাই বিজেপি জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং এই লক্ষ্যে বিজেপির বিরোধী দলগুলি সরাসরি একজোট না হলেও কৌশলগত জোটে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তবে, ত্রিপুরার দীর্ঘ ২৫ বছর বাদে বাম জমানার অবসানের পর বিজেপি আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় এসেছিল ২০১৮ সালে। সাড়ে বছর পার হওয়ার পর বিরোধী দলগুলি গোটা রাজ্যেই বিজেপি জোট বিরোধী হাওয়া বাতাস তোলার যে চেষ্টা করছে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও তা কিন্তু বেশ খানিকটা সফল বলা যায়। নির্বাচন শুধু জনসমর্থনের উপর নির্ভর করেনা। নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। জনসমর্থন ২০০১-র বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির ছিল অনেক বেশি। অন্তত জনসমর্থনের দৃশ্যমানতা এতটাই বেশি ছিল সবাই মোটামুটি ধরে নিয়েছিল ২০০১-র বিধানসভা নির্বাচনের বামফ্রন্ট গদি হারাচ্ছে। অরপরও আরও দুটি বিধানসভা নির্বাচিন আপেক্ষা করতে হয়েছিল মমতার। জনসমর্থনের পাশা পাশি ভোটারদের অর্থাৎ জনগণকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং ভোট জনে আনার বিষয়টিও ভোট রাজনীতির অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি ক্ষমতাসীন বামদলগুলির নেতারা খুব ভাল করে জানে। ক্ষমতা আসলে অতি ”বিশষত্ত একবার ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেলে তা বাঘের রক্তের স্বাদ পাওয়ার মতোই হয়ে যায়। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায়, রাজ্যেও ক্ষমতায়। চারমাস বাদে নির্বাচন কমিশনের আওতায় প্রশাসন চলে গেলেও দিল্লির প্রভাব থেকে প্রশাসন মুক্ত হতে পারবেনা রাজ্য।
তাছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে প্রচার। প্রচার কিভাবে চালাতে হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভালই জানেন।
এবারের রাজ্যের নির্বাচনের ব্যাপারে সবকিছুই জানেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় নেতারাও ত্রিপুরার প্রতি বিশেষ নজর রেখেই চলতে শুরু করেছে। বিরোধী দলগুলির পক্ষে যতটা সহজেই বাজিমাত করা যাবে মনে করা হচ্ছে তা কিন্তু হবে না। দলের পক্ষে হাওয়া বাতাস তুলে একাই বাজিমাত করার পরিকল্পনা বামের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন। তার সঙ্গে কঠিন বাস্তবের ফারাক যে বেশ অনেকটাই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি এখন অলআউ গেম খেলার পরিকল্পনা নিয়েছে বলেই ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল। আর এই অলআউট গেম তখনই জমে উঠে যখন দুই পক্ষই সমান শক্তিশালী হয়। আগামী মাস খানেকের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতির ময়দান কতটা প্রতিদন্ধিতা হাবে কতটা জমজমাট হবে তার আভাস পাওয়া যাবে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।