দুদিনের চিন্তন বৈঠকে রাজ্য নেতাদের ৬০-এ ৬০’র পাঠ
ত্রিপুরা , ২৫ সেপ্টেম্বর : আগামী বিধানসভার লক্ষ্যে পরপর দুইদিন চিন্তন বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতাদের রাজনৈতিক পাঠ দিয়ে গেলেন বিজেপির শীর্ষস্তরের তিন নেতা। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ, উত্তর পর্বাঞ্চলের কো অর্ডিনেটর তথা দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রা এবং রাজ্য প্রভারী ড. মহেশ শর্মা দুইদিন রাজ্যে অবস্থান করে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকের নামাকরণ করা হয়েছিলো চিন্তন বৈঠক। গতকাল রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রী ও বিধায়ক এবং বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠকে মিলিত হন। তারা। এরপর আজ অর্থাৎ শনিবার দিন হাঁপানিয়ায় একটি বেসরকারি রিসোর্টে চিন্তন বৈঠকের সমাপ্তি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ দলের অন্যান্য। শীর্ষস্তরের নেতৃবৃন্দ। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে দুইদিনের চিন্তন বৈঠকে নির্যাস তুলে ধরেন দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
তিনি জানান, দুইদিনের বৈঠকের মূল আলোচনা বিষয় ছিলো আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল ।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বৈঠকে বেশ কিছু দলীয় সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন। সুব্রত চক্রবর্তী জানান, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বিধানসভায় ৬০টি আসনের মধ্যে ৬০টিতেই যাতে দল জয়লাভ করে তারজন্য এখন থেকেই ময়দানে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এছাড়া সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বৈঠকে সরকারের কাজকর্ম নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। যে সমস্ত কাজগুলি বাকি রয়েছে তা যাতে দ্রুত শেষ করা হয় বৈঠকে এই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের অন্যান্য আলোচ্য বিষয়ের পাশাপাশি অন্য যে বিষয়টির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো রাজ্যের বিরোধী দলগুলির অবস্থান এবং গতিপ্রকৃতি। যদিও তিনি স্পষ্টভাবে জানান নিজে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির মধ্যে কাকে রাজ্য বিজেপি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এরকমই একটা প্রশ্ন সাংবাদিকরা তার সামনে তুলে ধরলে তিনি জানান, প্রত্যেক বিরোধী দলেরই রাজ্য বিজেপির কাছে সমান গুরুত্ব। কাউকে কম….