নেশায় ধ্বংস হচ্ছে প্ৰজন্ম : উদ্বেগ বিধানসভায়
ত্রিপুরা , ২৭ সেপ্টেম্বর : নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্লোগান যে উলটো পথে চলছে তা বিধানসভায় জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে। রাজ্যে নেশাসামগ্রীর মূল পাচারকারীদের অনেকের পরিচয় জানা সত্ত্বেও কেন এদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা তা নিয়ে সোমবারের অধিবেশনে সরকারকে ইঙ্গিত করে প্রশ্নও উঠেছে। এদিন দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ এনে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ রাজ্যে ছাত্র-যুবদের মধ্যে নেশা ব্যবহারের প্রবণতা প্রবল মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ড্রাগস একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
রাজ্যে গাঁজা উৎপাদনের পাশাপাশি ইঞ্জেকশন মাধ্যমে নেশা গ্রহণ বাড়ছে। ফলে বাড়ছে এইচ আই ভি রোগীর সংখ্যাও। সরকার নেশার বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। নতুনভাবে ছেলেমেয়েরা নেশায় যুক্ত হয়ে পড়ছে। নেশা সামগ্রী ধরা পড়লেও এরসাথে জড়িতরা শাস্তি পাচ্ছে না। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় কোথায় গাঁজা চাষ হচ্ছে সরকারের তা জানা আছে। নেশা কারবারের সাথে অল্প কিছু লোক জড়িত। তাদেরকও সবার চেনে। সোনামুড়ায় এই বাণিজ্যের সাথে কে যুক্ত জানা আছে। সব জেনেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। উলটো পাচারে বাধা দিতে গিয়ে বক্সনগরে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরকে গাড়ির তলায় পিষে হত্যা করা হলো। এরসাথে জড়িত একজন আসামিও ধরা পড়েনি বলে জানান সুদীপ রায় বর্মণ। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এই বক্তব্যে বাধা দিতে চাইলে সুদীপ বর্মণ। বলেন, গাঁজার প্রসঙ্গ উঠলেই আপনি এতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন কেন? গাঁজা থেকে মোহনপুরে কার কীভাবে ইনকাম হচ্ছে তা জানা আছে বলে জানান বিধায়ক বর্মণ।