দলিল রেজিস্ট্রেশনে স্বচ্ছতা আনতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ত্রিপুরা, ৩০ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের দরুণ আগরতলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুঘুর বাসায় ঢিল পড়ল। অভিযোগ, সরকার এনজিবিআরএস নামক একটি সফটওয়্যার চালু হওয়ার পর থেকে অফিসের একাংশ কর্মচারী ও কিছু অসাধু ব্যক্তি মিলে মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করে। প্রতিদিন ৪৮টির বেশি দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হবে বলে নতুন নিয়ম চালু করে। সম্প্রীতি আগরতলার এক ব্যক্তি নিজের সম্পত্তি উইল করার জন্য আগরতলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে উনাকে জানিয়ে দেয়া হয় নতুন নিয়মে যে ব্যক্তির নামে উইল করবেন, সেই ব্যক্তির একটি পরিচয়পত্র রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে। উইলে আবেদন করা ব্যক্তি কর্মচারীদের জানিয়ে দেন উইল করাটা গোপনীয় বিষয়, যার নামে উইল করা হয়, বিষয় তার জানা থাকার কথা নয়। সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীরা উইলটি নথিভুক্ত না করায় উইলে আবেদনকারী উচ্চ আদালতে শরনাপন্ন হন।
আবেদনকারীর পক্ষে বরিষ্ঠ আইনজীবী সৌমেন সাহা ও সৌগত দত্ত আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিন্দম লোধের এজলাশে রিট পিটিশনের শুনানিতে আদালত সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, উইলের বিষয়টি গোপনীয়। যেই ব্যক্তির নামে উইল করা হবে, সেই ব্যক্তির কাছে বিষয়টি অজানা থাকবে। অবিলম্বে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নতুন সফটওয়ারটিতে বিষয়টি সংশোধন করে নিতে নির্দেশ দেন এবং দরখাস্তকারীর উইলটি সফটওয়ারের মাধ্যমে না করে সরাসরি রেজিস্ট্রি করানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও, আগরতলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ইস্যু করা বিভিন্ন সরকারি কাগজপত্রে আধিকারিক ও অন্যান্য কর্মীদের স্বাক্ষর থাকলেও দিন তারিখ উল্লেখ থাকে না। এবার থেকে সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ইস্যু হওয়া প্রতিটি…