Feature NewsNewsএই মুহূর্তেত্রিপুরা

রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুলে নেশার রমরমা পুলিশ সুপার

ত্রিপুরা, ১ অক্টোবর : নেশায় আসক্ত রাজ্যের একটা বিরাট অংশের নাগরিক। তাদেরকে এ পথ ছাড়তে সবাইকে একসাথে চেষ্টা করতে হবে। শুধু পুলিশ আর প্রশাসন পারবে না । প্রত্যেকটা পরিবারকে একেকটা আউটপোস্ট হয়ে উঠতে হবে। পরিবারের সদস্যদের হতে হবে আউটপোস্টের কর্মী। প্রত্যেকটি পরিবার যখন আউটপোস্টের ভূমিকা পালন করবে তখনই নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়া সম্ভব। কথাগুলো বললেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার শংকর দেবনাথ। মুক্তধারায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখছিলেন তিনি। তার পাশাপাশি স্কুলের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন । পুলিশ সুপার জানিয়েছেন শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের একটা অংশ নেশায় আসক্ত, তারা অন্যদেরও প্রভাবিত করে। তাতে অভিভাবকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। প্রতি ঘরে সুশাসন ভাবনায় এখানে ছিল পড়ুয়াসহ অভিভাবকদের নিয়ে কর্মশালা ।

কর্মশালার থিম ছিল নেশামুক্ত ভারত অভিযান।

সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা বিভাগ ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেই ছিল এ আয়োজন। পুলিশ সুপার শংকর দেবনাথ আরও বলেন পড়ুয়াদের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এদিন নেশার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি বিষয়ক ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়। প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে শুক্রবার আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক পঞ্চম রাষ্ট্রীয় পোষণ মাহ উদযাপন ও নেশামুক্ত ভারত অভিযান বিষয়ক এক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। উদ্বোধন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী চাকমা বলেন, জীবন এক অমূল্য সম্পদ। আমাদের ভাবতে হবে আমরা ভবিষ্যতে কিভাবে সুস্থ ও সবল থাকব। সুস্থ ও সবল মানব সম্পদই আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে সক্ষম। কর্মশালায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, নেশামুক্ত ভারত গড়ে তুলতে ও দেশ থেকে অপুষ্টি দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি আমাদের রাজ্যেও রূপায়িত হচ্ছে। অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পোষণ মাহ একটি অন্যতম পদক্ষেপ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিস বসু সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার শংকর দেবনাথ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা পরিদর্শক ড. চন্দ্রানী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে নেশামুক্তভারত অভিযানের উপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এদিনের আয়োজনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী দুজন সুবিধাভোগীর হাতে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনায় ৫ হাজার টাকার চেক ও মুখ্যমন্ত্রী মাতৃ পুষ্টিকর খাবার উপহার যোজনায় ২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীগণ ঘরোয়াভাবে তৈরি শিশুদের পুষ্টিকর খাবার প্রদর্শন করেন। পুষ্টিকর খাবারের আয়োজন তুলে ধরে দফতর আগামীতে কর্মসংস্থানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এদিকে দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। পড়ুয়াদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় সেভাবে পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন না। যাদের নিয়ে এ আয়োজন তাদের গরহাজিরা নিয়েও উঠলো প্রশ্ন। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার উদ্দেশ্যেই এ আয়োজন, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নেশায় আসক্ত হচ্ছে পড়ুয়াদের একটা অংশ এ নিয়ে এদিনের আলোচনায় বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সূত্র : আজকের ফরিয়াদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *