Feature NewsNewsত্রিপুরারাজনীতি

৬০৬৭ স্পেশাল এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করছে জোট সরকার

ত্রিপুরা, ১ অক্টোবর : ৬০৬৭ জন স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ হবে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়। শহরে ও গ্রামীণ থানা এলাকাগুলিতে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য এই পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে। তাছাড়া ৩১০৮ জন টেট উত্তীর্ণ বেকারদের শিক্ষক পদে একসাথে নিয়োগ করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তের ওপর সিলমোহর দিয়েছে। শুক্রবার রবীন্দ্র ভবনে রাজ্য ভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী ক্যান্সার ও অসংক্রামক ব্যাধি সনাক্তকরণ ও লোকসচেতনতা অভিযানের উদ্বোধন করে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ন্যাশনাল হেলথ মিশনের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার রবীন্দ্র ভবনের উদ্বোধন হলো রাজ্যভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী ক্যান্সার ও অসংক্রামক ব্যাধি সনাক্তকরণ ও লোকসচেতনতা অভিযান কর্মসূচির। এই জনসচেতনতা অভিযান চলবে ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এদিন এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভায় চাকরি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিলেন। তিনি জানালেন, আরক্ষা দপ্তরকে সহযোগিতা করার জন্য ৬০৬৭ জন স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ হবে। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। শহর ও গ্রামীণ থানা এলাকাগুলিতে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য এই পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে। এতে রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো নিবিড় হবে। তাছাড়া ইতিমধ্যেই টেট উত্তীর্ণদের চাকরি প্রদান নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়েছে। তাদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার আন্তরিক। তাই মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত টেট উত্তীর্ণ বেকার রয়েছেন, অর্থাৎ ৩১০৮ জন টেট উত্তীর্ণ বেকারদের শিক্ষক পদে একসাথে নিয়োগ করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তের ওপর সিলমোহর দিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন মাদকাসক্তি ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই। তাই পান, বিড়ি, সিগারেট, গুটকা, খৈনি ইত্যাদি খাওয়ার থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেকের ভেতরেই, মাদকাসক্তিকে প্রশ্রয় দেবার এই সমস্ত মাদকদ্রব্য গ্রহণ করতে অযৌক্তিক কিছু যুক্তি সাজায়। কিন্তু সচেতনতা বাড়লে ক্যান্সার আক্রান্ত হবার ভয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাছাড়া খাদ্যভ্যাসের সাথেও ক্যান্সার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা জড়িয়ে রয়েছে। যেখানে ফসল উৎপাদনে অত্যাধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহার হয়, সেখানে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তার প্রমাণ রয়েছে ভারতবর্ষের পাঞ্জাবে। সেখানে গ্রীন রেভুলেশন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ফসল উৎপাদনের দর্পণ ক্ষেত্রে অত্যাধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করায়, পাঞ্জাবে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কিছুদিন আগেই সরকারি ভাতা ২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে এই ভাতার অংক ছিল ৭০০ টাকা..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *