সুশাসন আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম
ত্রিপুরা, ১৪ অক্টোবর : প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান। সরকারের এই অভিযানে অন্যতম বান্ধব সংবাদ মাধ্যম। জনগণের কাছে সুশাসন অভিযানের সুফল পৌঁছে দিতে সরকারের অন্যতম সহায়ক হিসেবে ভরসা সংবাদ মাধ্যম। অথচ তথাকথিত জনমুখী সরকার সংবাদ মাধ্যমের ঘরেই সুশাসন পৌঁছে দিতে পারলনা। গত সাড়ে চার বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করছে রাজ্য সরকার।
বেশ ক’টি বৈদ্যুতিন চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কয়েকটি চ্যানেলকে তো অঙ্কুরেই টুটি টিপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে সম ক্যাটাগরির সংবাদপত্রকে সমদৃষ্টিতে না দেখে ধারাবাহিকভাবে সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চনার জিঘাংসা ক্রমশই বাড়ছে। জনমুখী রাজ্য সরকারের এই বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন নেই প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বের। ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই সময়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি সরকারের অন্যায় অবিচারের যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সরকারি পদের অপব্যবহার করে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি এই অন্যায় অবিচার হলে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে শাসক দলই বড্ড বেকায়দায় পড়বে তা মালুম করতে পেরেছে বিজেপি নেতৃত্ব। গত ৯ অক্টোবর ত্রিপুরা দর্পণ পত্রিকায় ‘সুশাসন সংবাদ মাধ্যমের বকেয়া আটকে সরকারের আনন্দযাত্রা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিবাদ পত্রে উল্লেখ করা হয়, সংবাদ মাধ্যমের বকেয়া আটকে রেখে সরকার সংবাদ মাধ্যমের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এটাও সম্পূর্ণ অসত্য। কারণ ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিজ্ঞাপনের রেট যেমন বৃদ্ধি করা হয়েছে তেমনি বিজ্ঞাপনে আর্থিক বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিজ্ঞাপন বাবদ সরকার বিভিন্ন সংবাদ..