Feature NewsNewsএই মুহূর্তেত্রিপুরা

রেশনশপে তালা ঝোলালো প্রশাসন

ত্রিপুরা, ৩০ অক্টোবর : বিমানবন্দর রোডের নতুননগর কো-অপারেটিভ এলাকায় ২৩৫ নম্বর রেশনশপে অক্টোবর মাসের বিপুল রেশন সামগ্রীর হদিশ না পেয়ে খাদ্য দপ্তর পশ্চিম থানায় মামলা করেছে। সেই সঙ্গে সদর মহকুমাশাসক অরূপ দেবের নির্দেশে আপাতত রেশনশপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভোক্তারা দীর্ঘদিন ধরেই সঠিক ও নিয়মিতভাবে কার্ডের বরাদ্দের জিনিসপত্রের রেশনশপ থেকে পাচ্ছেন না বলে সদর মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ যায়। তারপর গত ১৫ অক্টোবর সদর মহকুমাশাসকের নির্দেশে ডিসিএম সুবর্ণপদ মুড়াসিং, দুজন খাদ্য পরিদর্শক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী ও শর্মিষ্ঠা দাস রেশনশপ পরিদর্শনে যান। তদন্ত করে দেখেন স্টকে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। ই পজ মেশিনের পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় ১৭৪ কুইন্টাল ৬৫ কেজি চালের কোনও হদিশ নেই। তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনার বিনামূল্যে চাল রয়েছে ৮১ কুইন্টাল। শুধু তাই নয়, চিনির হদিশ নেই ৭৪০ কেজি, মশুরি ডালের হদিশ নেই ২৮০ কেজি। রেশনশপের শুধু অক্টোবর মাসেরই এতো বড় গরমিলের হদিশ পাওয়ায় তদন্তকারী দলের সদস্যরা অবাক হয়ে যান। রেশনশপের ডিলার শ্রীমতী মৈত্রী ভট্টাচার্য এতো বিপুল পরিমাণ মালপত্র কেন বেপাত্তা হয়ে গেছে রেশন থেকে তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি। পরে মহকুমাশাসক ডিলারকে এ বিষয়ে শোকজ করেন।

কিন্তু তিনদিন সময় দিলেও ডিলার কোনও উত্তর দেননি বলে সদস খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে।

তবে ডিলার ২৫ অক্টোবর মহকুমাশাসককে গিয়ে বলেন বেপাত্তা হয়ে যাওয়া মালামাল তিনি পুনরায় রেশনশপে নিয়ে আসবেন। তিনদিন তাতে সময় চান ডিলার। কিন্তু ডিলার তিনদিনের মধ্যে তার কথা রাখেননি। তারপর ২৮ অক্টোবর সদর মহকুমাশাসক ২৩৫ নম্বর রেশনশপ ডিলারকে সাসপেণ্ড করে আপাতত বন্ধ করে দেন রেশনশপ। এই রেশনশপের ভোক্তাদের সুবিধার জন্য নিকটবর্তী ১৭৩ নম্বর রেশনশপ থেকে রেশন সামগ্রী আনার জন্য সুবিধা করে দেওয়া হয়। রেশনশপের বিরুদ্ধে পশ্চিম থানায় আণ্ডার সেকশন 3EC Act 406 IPC ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *