১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাপদাহ গরমে হাঁসফাঁস করছে রাজ্য
ত্রিপুরা, ১৩ এপ্রিল : বাংলা নতুন বছর আসতে আরো কয়েকদিন বাকি। তবে গ্রীষ্মকাল আসার আগেই চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছে রাজ্য। তাপমাত্রার এমন অবস্থানে | এপ্রিল মাসেই তা চলছে স্বাভাবিকের অনেক উপরে। বুধবার রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। | এপ্রিল মাসেই তাপপ্রবাহের এ অবস্থায় রীতিমতো চিন্তিত সকলেই। তবে আবহাওয়া দপ্তর আশার বাণী শুনিয়েছে, এ বছর স্বাভাবিক বর্ষাই হবে। ফলে দেশের কৃষিক্ষেত্রে অযথা আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। রাজধানীর অদূরে বিমানবন্দর সংলগ্ন আবহাওয়া অফিস থেকে বুধবার যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানানো হয় তাতে বলা হয়েছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় রাজধানীতে আবহাওয়া শুষ্কই ছিল। মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই। মঙ্গলবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের অনেক উপরে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে দাবদাহ কমার সম্ভাবনা নেই। বরং একই থাকার সম্ভাবনা প্রবল । আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।এ বছর চৈত্র মাস প্রবেশ করতেই কালবৈশাখীর চোখ রাঙানি ছিল। কিন্তু চৈত্র মাস যত গড়িয়েছে তত কালবৈশাখী যেন হারিয়ে গেছে। ফলে গরমের প্রকোপ বাড়িছে ।এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যে মার্চ মাসে বৃষ্টির একটি হিসাব দাখিল করে জানিয়েছে, মার্চ মাসে রাজ্যে বৃষ্টি স্বাভাবিকই ছিল। মার্চ মাসে রাজ্যে বৃষ্টিপাত হয় ৭৭.৯ মিমি। স্বাভাবিক থেকে ছিটেফোঁটা কম। এটা অবশ্যই স্বাভাবিক। রাজধানী আগরতলায় মার্চ মাসে বৃষ্টিপাত ছিল ৬০.৩ মিমি। তবে রাজ্যে বর্ষার মরশুম প্রবেশ করেনি। এখন গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরাতেও প্রি মনসুন চলছে। বর্ষা দেশে শুরু হয় জুন মাস থেকে সরকারিভাবে এর মেয়াদ সেপ্টেম্বর মাস অবধি।