Feature Newsfleshত্রিপুরাপূর্বোত্তর

রাজধানীতে গণধর্ষণে তোলপাড় গোটা রাজ্য

ত্রিপুরা, ১২ মে : আমতলী গণধর্ষণ কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার নতুন মোড়। এক অভিযুক্তের বয়ানে অপর অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে তার ঘর থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকার হদিশ পেল আমতলী থানার পুলিশ। তবে পালাতে সক্ষম হয় অভিযুক্ত। ঘটনা বৃহস্পতিবার। এদিন সন্ধ্যায় আমতলী গণধর্ষণ কাণ্ডে প্রথম অভিযুক্ত গৌতম শর্মার পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তার বয়ানের। উপর ভিত্তি করেই বৃহস্পতিবার দিনভর একাধিক জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। চারিপাড়া এলাকা থেকে সুদীপ ছেত্রী নামে দ্বিতীয় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এরপর মহেশখলা এলাকার তৃতীয় অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ পালের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের আগমন টের পেয়ে পালিয়ে যায় প্রসেনজিৎ, কিন্তু নিতে ভুলে যায় তার লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাগ। প্রসেনজিতের খোঁজে সারা বাড়ি তল্লাশীর সময় তার ঘরের বিছানা থেকেই দুটি টাকা বোঝাই ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে আমতলী থানায় প্রাথমিক পর্যায়ে গণনার পর ৯০ লক্ষাধিক টাকা রয়েছে বলে জানান পশ্চিম জেলার এসপি কিরণ কুমার কে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে জুয়া ব্যবসার সাথে জড়িত প্রসেনজিৎ। আইপিএল সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বিভিন্ন খেলায় বাজি লাগিয়ে অবৈধভাবে টাকার লেনদেন করত সে। এর পাশাপাশি তীর জুয়া খেলারও মাস্টার ছিল সে। যে গাড়িটিতে গণধর্ষণের ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল সেই গাড়িটিও প্রসেনজিৎ পালের জোগাড় করা। সুদের টাকা দিতে না পারায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে সে কেড়ে নিয়েছিল গাড়িটি। গাড়িটিতে নাম্বার প্লেটও পড়েনি। এই গাড়িতে করেই একাধিক অবৈধ কার্যকলাপ সংগঠিত করেছে সে। শুধু তাই নয় তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি এটিএম কার্ড সহ একটি ল্যাপটপ, ব্যাংকের নথি সমস্ত কিছু উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তার কাকা লক্ষন পালকে এয়ারপোর্ট থেকে আটক করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *